রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘায় মসজিদের ভেতরে নামাজরত অবস্থায় যুবককে ছুরিকাঘাতের আলোচিত ঘটনায় মনিরুল ইসলাম জমজম (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার উত্তর কলিগ্রামে নিজ বাড়ির পাশে আমবাগান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হামলাকারী মনিরুল ইসলাম জমজম কলিগ্রামের আয়েজ উদ্দীনের ছেলে। তিনি উপজেলার উত্তর কলিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা।এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাজশাহীর বাঘায় মসজিদের ভেতরে নামাজরত অবস্থায় ছুরিকাঘাতে জখম হন ব্যাংক কর্মচারী আবু ফজল মোহাম্মদ সিদ্দিক (৩৭)। এ ঘটনায় তাঁর ভাই আবু বক্কর সিদ্দিক বাবলু মামলা করেছেন।আবু ফজলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাকেশ পাণ্ডে জানান, আবু ফজলের শারীরিক অবস্থা বেগতিক দেখে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে মসজিদের ভেতরে নামাজরত অবস্থায় আবু ফজল মোহাম্মদ সিদ্দিককে (৩৭) ছুরিকাঘাতে জখম করেন প্রতিপক্ষ মনিরুল ইসলাম জমজম (৩৮)।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলিকগ্রামের জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করতে যান আবু ফজল মোহাম্মদ সিদ্দিক। ইমামের পেছনে ফরজ নামাজ পড়া শুরু করেন তিনি। এ সময় মনিরুল ইসলাম মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে ধারালো চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন আবু ফজলকে। চাকুর আঘাতে আবু ফজলের বাঁ হাতের কনুইয়ের নিচে ও ওপরে এবং ডান হাতের কবজি কেটে যায়। মুসল্লিরা আবু ফজলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। হামলাকারী ঘটনার পরপরই পালিয়ে যান।মসজিদের ইমাম আব্দুল খালেক বলেন, ‘জামাতে ফরজ নামাজের দ্বিতীয় রাকাতের রুকুতে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।’আহত ব্যাংক কর্মচারী আবু ফজল মোহাম্মদ সিদ্দিকের বড় ভাই আবু বক্কর সিদ্দিক বাবুল বলেন, ‘আট বছর আগে নিজের বাবাকে হত্যা করে মনিরুল।
এই হত্যার সাক্ষী হয়েছিল আমার ছোট ভাই আবু বাশার মোহাম্মদ সিদ্দিক। কিন্তু তাঁকে না মেরে আমার আরেক ভাই ব্যাংক কর্মচারী আবু ফজলকে নামাজরত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করেছে।’এ বিষয়ে বাঘা থানার পরিদর্শক (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, হামলাকারী মনিরুল ইসলামকে গভীর রাতে তাঁর নিজ বাড়ির পাশে আমবাগান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।