কুবি প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির পর দুই পক্ষের অস্ত্রের মহড়াকে কেন্দ্র করে হল বন্ধ করাসহ বেশ কিছু জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো বন্ধ থাকবে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ছাত্র হলগুলোতে অবস্থানকারী ছাত্রদের ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
ছাত্রী হলগুলোতে অবস্থানকারী ছাত্রীদের ৩ অক্টোবর সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়াও আগামী ১০ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষাসমূহ স্থগিত থাকবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের নিজস্ব পরিবহন ব্যতীত সকল ধরনের পরিবহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী জানান, আগামী ১০ থেকে ১৭ অক্টোবর পরীক্ষা বন্ধ থাকলেও ক্লাস চলবে। এ ছাড়াও আবাসিক হলগুলো খোলার তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে।এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সদ্য বিলুপ্ত ছাত্রলীগের কমিটির (ইলিয়াস-মাজেদ) একই গ্রুপের রাজনীতি করা দুই হলের নেতা-কর্মীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। তখন প্রায় ৪০ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। আর এ ঘটনায় ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা স্থগিত ছিল।উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণার পর ১ অক্টোবর ছাত্রলীগের এক গ্রুপ (রেজা-ই-এলাহি) ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল শোডাউন ও বাজি ফুটায়। এরপর সদ্য বিদায়ী কমিটির (ইলিয়াস-মাজেদ) নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেন। এতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আতঙ্কে পড়ে যান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।