জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে দুই ডাক্তারের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এসময় অপারেশন থিয়েটার দুই ঘন্টা বন্ধ থাকায় চরম দূর্ভোগে পড়ে অপারেশন করতে আসা রোগীরা।রোববার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের ২য় তলার জেনারেল সার্জারী এবং গাইনী ও প্রসূতী অপারেশন থিয়েটারে এই ঘটনা ঘটে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী জানান, হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট নাহিদুল কাদির এনেস্থেসিয়ান ও একই হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ শামসুর রহমানের সাথে কথা কাটাকাটি হয়।
এসময় ডাঃ নাহিদুল কাদির এনেস্থেসিয়ান অধ্যাপক ডাঃ তাইজুল ইসলামকে ডেকে আনলে তার সাথেও কথা কাটাকাটি হয় । এক পর্যায়ে ডাঃ তাইজুল ইসলাম অপারেশন থিয়েটারের ভিতরেই ডাঃ শামসুর রহমানের উপর চরাও হয়ে শার্টের কলার ধরে ঘুষি মারেন ।কর্মচারীরা আরো বলেন, “আমরা অপারেশন থিয়েটারে দরজার সামনে ছিলাম,পরে অপারেশন থিয়েটারের ভিতরে হট্টোগোল শুনি এবং জানতে পারি এক ডাক্তার আরেক ডাক্তারকে মেরেছে।
ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে প্রায় ২ঘন্টা অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এতে করে নিপা আক্তার, ঝর্ণা বেগমসহ কয়েকজন রোগী অপারেশন না করেই চলে যান।অপারেশন থিয়েটার থেকে ফেরত আসা রোগী ঝর্ণা বেগমের স্বামী বাবুল হোসেন বলেন, “সকাল ৯টার দিকে অপারেশনের জন্য ঝর্ণাকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ঝর্ণাকে অপারেশন থিয়েটারের পাশের রুমে রাখা হয়। হঠাৎ বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে অপারেশন থিয়েটারের ভেতরে গন্ডগোল শুরু হয়। সাথে সাথে অপারেশন থিয়েটারের কেচিগেট লাগিয়ে দেয় সেখানকার লোকজন। দুই ঘন্টা বন্ধ থাকার পর অপারেশন থিয়েটার খোলা হয়।
এসব গন্ডগোলের কারনে ঝর্ণার অপারেশন আর করেনি ডাক্তাররা।”রোগী ঝর্ণা বেগম বলেন,“আমি পেটের ব্যাথা নিয়ে ১১দিন যাবত ভর্তি আছি। অনেক অপেক্ষার পর আজ অপারেশন হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ডাক্তারদের মারামারির কারনে অপারেশন হলো না। এখন শুনছি কাল নাকি আমার অপারেশন হবে। আমি পেটের ব্যাথা আর সইতে পারছি না। ”
এ বিষয়ে ডাঃ তাজুল ইসলাম ও নাহিদুল কাদিররের সাথে মোবাইলে যোগযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ ফোন ধরেনি ।এসব বিষয়ে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা: মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন-“অপারেশন থিয়েটারের ভেতরে দুই ডাক্তারের মধ্যে একটি ঘটনা ঘটেছিলো। আমরা কয়েকজন বসে বিষয়টি সমাধান করে ফেলেছি। এখন অপারেশন থিয়েটার চালু হয়েছে।”