Breaking News

দিনে ছাত্রী, রাতে পতিতা

পড়াশুনা করতে এসে ভারতের শহরগুলোতে নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিচ্ছে হাজার হাজার মেয়ে। এদের অধিকাংশই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। কেউ বা শখের বসেও নামছেন এ কাজে। তবে বেশিরভাগই দারিদ্রের কষাঘাতে বিলিয়ে দিচ্ছে নিজের সম্ভ্রম এবং বাজারে বিকিয়ে দিচ্ছে তাদের কুমারিত্ব। সম্প্রতি কয়েকটি এনজিও পতিতাপল্লীর বাইরে যৌনকর্মীদের জন্য এইডস নিয়ে কাজ করতে গেলে বেরিয়ে আসে চমকে দেওয়ার মতো এ তথ্য।

জানা গেছে, ভারতের নাগপুরের নিকটবর্তী এলাকা ওয়াদি, হিংনা, কালমেশ্বর, কেম্পটি থেকে হাজার হাজার মেয়েরা পড়াশোনা বা কাজের খোঁজে এসে নিজেদের বিলিয়ে দিচ্ছেন টাকার জন্য।বেশির ভাগ মেয়েরাই দুই রকম জীবন-যাপন করেন। দিনে ছাত্রী, রাতে পতিতা। তারা তাদের পরিবারকে বোঝাতে চেষ্টা করেন যে, নাগপুর তাদের স্বপ্নের ঠিকানা।

ভরসা পেগেল নামে এক এনজিও ম্যানেজার জানান, বেশির ভাগ মেয়েরা ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী। তারা সবাই গরীব পরিবার থেকে এসেছে তা নয়। অনেকে আছেন, সম্ভ্রান্ত মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। তারা পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য রাতে বেশ্যাবৃত্তির পথ বেছে নিয়েছেন। এদের মধ্যে নার্সিং, আর্টস, কমার্স ও বিজ্ঞানের ছাত্রীও আছে। আমরা তাদেরকে পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করছি।

ভরসা আরো জানান, অল্প বয়স হওয়ায় এই শিক্ষার্থীরা খদ্দেরের কাছ থেকে ভাল টাকা পায়। তারা এটা সরাসরি খদ্দেরের কাছ থেকে নেয় অথবা দালালের মাধ্যমে নেয়। তারা প্রতিরাতে ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার রুপি পর্যন্ত পেয়ে থাকে। আর ঘন্টায় নেয় দেড় হাজার থেকে দুই হাজার রুপি। পুরোটাই নির্ভর করে খদ্দেরের উপরে। তারা গড়ে সপ্তাহে দুই-এক দিন এ কাজ করে থাকে।

তিনি বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই অর্থের একটা অংশ তাদের পরিবারের কাছে যায়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা দামী মোবাইল সেট, দামী মেক-আপ সেট, কাপড়-চোপড় ইত্যাদির পেছনে খরচ করে। এই মেয়েদের সবাই মদ্যপানে অভ্যস্ত। ভরসা জানান, আমাদের ডাটাবেজে ৩ হাজারের মতো পতীতাপল্লীর বাইরের যৌনকর্মী রয়েছে এবং এদের ৭০ শতাংশই শিক্ষার্থী। অভিভাবকরা অনেকেই তাদের সন্তানদের এই জীবন সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

Check Also

শাকিব খান বুবলীর প্রথম স্বামী নন!

চিত্রনায়িকা শবনম ইয়াসমিন বুবলী যেমন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের প্রথম স্ত্রী নন, তেমনি শাকিব খানও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *