ছাত্রলীগ কার্যালয়ে তালা ঝোলানো, তা খুলে পাল্টা তালা দেওয়া―দীর্ঘদিন ধরে এমনটিই চলে আসছিল বগুড়ায় বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে। এবার সেই দরজাই খুলে নিয়ে গেল একাংশের নেতাকর্মীরা। সোমবার সন্ধ্যার দিকে নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে প্রথমে তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে তারা দলীয় কার্যালয়ের দরজাই খুলে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি সজীব সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়ের নেতৃত্বে অর্ধশত নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ে যায়। এ সময় তারা কার্যালয়ের দরজায় কমিটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের লাগানো তালা ভেঙে ফেলে। সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা করে।
শেষে তাদের একাংশ দলীয় কার্যালয়ের সামনে টেম্পল রোডে অবস্থান নেয়। পরে ভেতরে থাকা অন্যরা কার্যালয়ের দরজা খুলে নিয়ে বেরিয়ে যায়। খুলে ফেলা দরজাটি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশে অবস্থিত টাউন ক্লাবে রেখে দেয় তারা।
জানতে চাইলে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা বলেন, ‘প্রতিদিনের মতোই দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে সভা করা হয়েছে। পরে নেতাকর্মীদের নিয়ে টেম্পল রোডে কিছুক্ষণ অবস্থান করে আমার চলে যাই। কে কেন দরজা ভাঙেছে তা আমাদের জানা নেই। ’
গত ৭নভেম্বর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন। সেই কমিটি বাতিলের দাবিতে ওই দিনই দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন শুরু করেন পদবঞ্চিতরা। গত ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে সেই তালা ভেঙে কার্যালয়ে ঢোকেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। একই দিন সন্ধ্যার দিকে ওই কার্যালয়ে দ্বিতীয় দফায় তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। পরের দিন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গিয়ে তালা লাগানোর হুক কেটে রেখে যান। গত রবিবার সন্ধ্যায় আবারও মিছিল ও সমাবেশ করে তালা ঝুলিয়ে দেয় আন্দোলনরত নেতাকর্মীরা।
সোনার ছেলে