Breaking News

মাছের খামারে কুমির, আতঙ্কে এলাকাবাসী

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় মাছের খামার থেকে একটি কুমির উদ্ধার করেছেন জেলেরা। সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার আলওয়ালপুর ইউনিয়নের গাইমারা এলাকার একটি খামারে জেলেদের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ে কুমিরটি। সেটিকে খামারে শিকল ও দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে ঢাকা থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বন্য প্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি দল।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার গাইমারা এলাকায় মাছের আটটি খামার আছে। এর মধ্যে ৫০ বিঘা জমির ওপর খলিল কাজী নামের এক ব্যক্তির একটি খামার আছে। সেখানে মিঠাপানির কার্প জাতীয় মাছের চাষ করা হয়। ওই খামারে গত শনিবার কুমিরটি দেখা যায়। এরপর সোমবার জেলেরা কুমিরটিকে ধরতে গর্তের মুখে ফাঁদ পাতেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে কুমিরটিকে শিকল ও দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলেন তারা। এরপর মাছের খামারের এক কোণে তা বেঁধে রাখা হয়।

মাছের খামারের শ্রমিক সামাদ কাজী বলেন, সাত-আট দিন আগে খামারের ভেতর বড় লেজের গুইসাপের মতো দেখতে পেয়েছিলাম। তখন গুইসাপ ভেবে গুরুত্ব দিইনি। তিন দিন আগে আমার ভাগনে খেয়াল করেছে, খামারের পাড়ে বড় একটি গর্ত। সেখানে কুমিরের পায়ের ছাপ দেখতে পায়। সোমবার আমরা ওই গর্তের মুখে ফাঁদ পাতি। রাতে সেই ফাঁদে কুমির ধরা পড়ে। এরপর আমরা ঘটনাটি গোসাইরহাট থানায় জানাই। কুমিরটির দৈর্ঘ্য সাত ফুট বলে জানান তিনি।

আলওয়ালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান গনি বলেন, যে এলাকার মাছের খামারে কুমিরটি পাওয়া গেছে, তার থেকে অন্তত চার কিলোমিটার দূরত্বে মেঘনা নদী। দুই কিলোমিটার দূরত্বে খাল আছে। অন্যদিকে মাছের খামারটির পাড় উঁচু হওয়ায় বর্ষায়ও সেটি তলিয়ে যায় না। এমন একটি বদ্ধ মাছের খামারে কীভাবে কুমির এলো সেটিই প্রশ্ন। এ ঘটনায় এলাকার মানুষ আতঙ্কিত। আমরাও দুশ্চিন্তায় পড়েছি।

গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির বলেন, কুমিরের ছবি ও ভিডিও পাওয়ার পর বন্য প্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের জানাই। ঢাকা থেকে একটি প্রতিনিধিদল গোসাইরহাটে আসছে। ওই কর্মকর্তারা ছবি ও ভিডিও দেখে নিশ্চিত করেছেন, এটি লোনাপানির কুমির। কীভাবে লোনাপানির কুমির মিঠাপানির মাছের খামারে এসেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। বিষয়টি কিছুটা উদ্বেগের।

Check Also

কন্যার ছিন্নভিন্ন দেহ কুড়াচ্ছিলেন মা

অনেক সাধনা। দীর্ঘ প্রতীক্ষা। সংসার পাতার আট বছর পর গিয়াস-রাবেয়া দম্পতির ঘরে জ্যোতি ছড়ায় রায়সা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *