বুয়েটছাত্র ফারদিন হত্যার তদন্তে অগ্রগতি নেই বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থা ডিবির প্রধান মো. হারুন অর রশীদ। তবে এক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলছেন, অগ্রগতি আশানুরুপ। খুব শিগগিরই রহস্য উন্মোচনের আশা তার। আর হত্যাকাণ্ডে মাদকের সম্পৃক্ততা পায়নি বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার।
গত সোমবার বুয়েটছাত্র ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধারের পর ৫ দিনেও এই হত্যা রহস্যের কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি তদন্তে থাকা ডিএমপি গোয়েন্দা শাখা ডিবি। তদন্তকারী সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন, ফারদিন হত্যার তদন্তে অগ্রগতি নেই।
যদিও এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছিল, ‘মাদক সংশ্লিষ্টতার’ কারণেই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন ফারদিন। দেশের একটি জাতীয় পত্রিকার সংবাদে জানানো হয় মাদক কিনতে গিয়ে চানপাড়া এলাকায় হত্যার শিকার হয় ফারদিন। হত্যার পর লাশ ফেলে দেয়া হয় নদীতে।
তবে ছেলের মাদক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছিলেন তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন। তিনি অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর এখন বলা হচ্ছে মাদকের কথা। তার ছেলে ধূমপানই করে না, সে মাদক কিনতে সেখানে কেন যাবে।
ফারদিনের পরিবারের দাবি, বুয়েটের কোনো শিক্ষার্থীকে মাদক সংগ্রহ করতে হলে এত দূর যেতে হয়? ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকায় এসব জিনিস পাওয়া যায় না?
তবে শনিবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তদন্তকারী সংস্থা বলছে, এখন পর্যন্ত মামলা তদন্তে মাদকের কোনো সংশ্লিষ্টতা পায়নি তারা। এছাড়া মামলারও কোনো অগ্রগতি নেই।
ডিবির প্রধান হারুন বলেন, বুয়েটের ছাত্র ফারদিন হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে সম্ভাব্য সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। সেসব তথ্য বিশ্লেষণ করছেন ডিবির তদন্ত দলের সদস্যরা।
তবে ভিন্ন কথা বলছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ক্রাইম) অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার। তিনি জানান, মামলার আশানুরুপ অগ্রগতি আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যের মধ্যেই জানানো হবে। তবে ঠিক কী কারণে ফারদিন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। আর হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত কাউকে গ্রেপ্তারও করা যায়নি।
অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আরও জানান, হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুশরার এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।