Breaking News

প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ায় পাড়ি জমালেন জামালপুরের তরুণ

প্রায়শ শোনা যায়, প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসেন ভিন দেশি তরুণ-তরুণী। বিয়ে করেন পছন্দের প্রেমিক বা প্রেমিকাকে। আবার অনেকেই বাঁধেন সুখের ঘর। কেউ আবার একটি সময় পর ফের পাড়ি জমান নিজ দেশে। কিন্তু এবারের চিত্রটি ভিন্ন।

এবার প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ায় চলে গেছেন অর্ক নামে জামালপুরের এক তরুণ। সেখানে ১০ নভেম্বর বিয়ে করেছেন প্রেমিকা সিতি মারিয়াকে।

২৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান অর্ক জামালপুর শহরের বানিয়াবাজার এলাকার মিজানুর রহমানের সন্তান।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষে একটি বেসরকারি আইটি প্রতিষ্ঠানে চিফ অপারেটিং অফিসার পদে চাকরি করছেন তানজিলুর রহমান অর্ক।

তানজিলুর রহমান অর্ক জানান, ২০১৯ সালে একটি ওয়েবসাইটে একাউন্ট করেন তিনি। এরপর তার সাথে কথা হয় সিতি মারিয়া (২৩) নামে এক নারীর।

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে ৪০ মিনিটের দূরে বগর জেলার সেলতুন সিটির জাবা প্রবিন্স এলাকায় বাস করেন সিতি মারিয়া। তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় সিতি মারিয়া। তার বাবা ওমর একজন ব্যবসায়ী। লেখাপড়া শেষে সিতি মারিয়া সেখানকার তাসকিয়া গ্লোবাল ইসলামিক বিদ্যালয়ে কোরআন-হাদিস বিষয়ে শিক্ষকতা করছেন।

পরে হোয়াটসঅ্যাপে নিয়মিত কথা বলতে বলতে একসময় গভীর প্রেম হয় দুজনের। এরপরই তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

নানা জটিলতায় শেষ করে গত ১৮ অক্টোবর বিমানযোগে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশে পাড়ি জমান অর্ক।

মোবাইল ফোনে তানজিলুর রহমান অর্ক ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমার অনেক আগেই ইন্দোনেশিয়াতে আসার কথা ছিল। প্রথমে করোনার কারণে অনেক দিন ভিসা বন্ধ ছিল । ভিসা চালু হওয়ার পর আবার ভিসা জটিলতা দেখা দেয়। তার জন্য আসতে দেরি হয়েছে। এখানে এসে অনেক কাগজপত্র ঠিক করতে হয়েছে। এর জন্য বিয়ে দেরি হয়েছে।

অর্ক আরো বলেন, বিয়ের পর সিতিকে বাংলাদেশে নিয়ে যেতে এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য অনেক কাগজপত্রের প্রয়োজন। এসব করতে আরো ৬ মাসের মতো সময় লাগবে। সব কাজ শেষ করে ইনশাল্লাহ ৬ মাস পর আমরা বাংলাদেশে থাকব।

তানজিলুর রহমান অর্ক বলেন, আমি বাংলাদেশের মানুষের কাছে দোয়া চাই যাতে আমরা সুখী হতে পারি। বিয়ের পর আমাদের নিয়মিত যাতায়াত থাকবে। আমি সিতির সকল সিদ্ধান্তে একমত। সিতি চাইলে বাংলাদেশেও থাকতে পারে, ইন্দোনেশিয়ায়ও থাকতে পারে। এই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে।

মোবাইল ফোনে সিতি মারিয়া ঢাকাটাইমসকে বলেন, আগে বাংলাদেশের ছেলেদের সম্পর্কে আমাদের খারাপ ধারণা ছিল। কিন্তু এখন অর্কের সাথে মিশে সেই ধারণা বদলে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত মিশুক ও সহজ সরল। এখানে কাগজপত্র ঠিক হলেই আমি বাংলাদেশে যাব।

Check Also

কন্যার ছিন্নভিন্ন দেহ কুড়াচ্ছিলেন মা

অনেক সাধনা। দীর্ঘ প্রতীক্ষা। সংসার পাতার আট বছর পর গিয়াস-রাবেয়া দম্পতির ঘরে জ্যোতি ছড়ায় রায়সা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *