Breaking News

বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটালেন ছাত্রলীগ নেত্রী

রাজধানীর বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়েছেন একই কলেজের ছাত্রলীগের এক নেত্রী। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা আহত শিক্ষার্থী মাহমুদা আক্তার কলিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজ হোস্টেলে আক্রান্ত শিক্ষার্থী মাহমুদা আক্তার কলি কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খাদিজা ইসলামের রুমমেট। খাদিজা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবীবা আক্তার সাইমনের অনুসারী। তাই খাদিজা বিভিন্ন সময় কলিকে নিজেদের অনুসারী হয়ে কলেজে রাজনীতি করার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলো এবং তাকে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সেলিনা আক্তার শেলীর রুমে যাওয়া এবং তার সঙ্গে সম্পর্ক না রাখতে বলে। কিন্তু কলির তিনজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু সভাপতি শেলীর রুমমেট হওয়ায় তাকে প্রায়ই শেলীর রুমে যেতে হয়। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে খাদিজা ও তার অন্যান্য রুমমেটরা সংঘবদ্ধ হয়ে পূর্বপরিকল্পনা মাফিক বৃহস্পতিবার রাতে কলির ওপর হামলা চালায়।

আক্রান্ত শিক্ষার্থী মাহমুদা আক্তার কলি বলেন, আমাকে খাদিজা ইসলাম দরজা বন্ধ করে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে এবং বারবার বলছিল তোকে বুয়েটের আবরারের মতো পিটিয়ে মেরে ফেলবো। তারা আমার গলায় পারা দিয়ে ধরে রাখে এবং একপর্যায়ে আমি সেন্সলেস (অজ্ঞান) হয়ে পরি। পরবর্তীতে আশেপাশের রুমের শিক্ষার্থীরা আমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করে।

চিকিৎসা নিয়ে শুক্রবার ভোরে মেডিকেল থেকে হলে আসেন বলে জানান কলি। এখনো মানসিকভাবে বিপর্যস্ত আছেন বলে জানান তিনি।

মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বদরুন্নেসা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খাদিজা ইসলাম। তিনি বলেন, আমি এরকম কোনো ঘটনা ঘটাইনি এবং এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সেলিনা আক্তার শেলী বলেন, এই ঘটনার কথা শুনেছি। ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে এবং তা প্রমাণিত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Check Also

কন্যার ছিন্নভিন্ন দেহ কুড়াচ্ছিলেন মা

অনেক সাধনা। দীর্ঘ প্রতীক্ষা। সংসার পাতার আট বছর পর গিয়াস-রাবেয়া দম্পতির ঘরে জ্যোতি ছড়ায় রায়সা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *