চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকায় কুকুর লেলিয়ে শিক্ষার্থী হিমাদ্রী মজুমদারকে হত্যায় বিচারিক আদালতের দেওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। বাকি দুইজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকা তিন আসামি হলেন-মাহাবুব আলী ড্যানি, জাহিদুল ইসলাম শাওন ও জুনায়েদ রিয়াদ। এদের মধ্যে জুনায়েদ ও জাহিদুল পলাতক।
মামলায় খালাস পাওয়া দুজন হলেন- শাহ সেলিম ওরফে টিপু ও শাহাদাত হোসেন সাজু।আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমেদ হিরো।
আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী।রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমেদ হিরো।
মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকার সামারফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল হিমাদ্রীকে ধরে নিয়ে যান আসামি শাওন, রিয়াদ, সাজু ও ড্যানি।
হিমাদ্রী ওই স্কুল থেকে ‘এ’ লেভেল পাস করেন। আসামিরা তাকে ধরে পাঁচলাইশ এলাকায় রিয়াদের বাবা ব্যবসায়ী টিপুর বাড়ির ছাদে নিয়ে যান। সেখানে আটকে রেখে মারধরের পর হিংস্র কুকুর লেলিয়ে ও ধাক্কা দিয়ে তাকে ফেলে দেওয়া হয় ছাদ থেকে। হাসপাতালে ২৬ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর একই বছরের ২৩ মে মৃত্যু হয় হিমাদ্রীর।
এ ঘটনায় তার মামা শ্রীপ্রকাশ দাশ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় এ হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।বিচার শেষে ২০১৬ সালের ১৪ আগস্ট পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম।
পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।বুধবার ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।