Breaking News

অনলাইনে পণ্য কিনতে গিয়ে প্রতারিত বিটিভির নারী সাংবাদিক

‘অনলাইনে পণ্য অর্ডার করে ঠকেছি’- এমন অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। পণ্য অর্ডার করে খালি প্যাকেট পাওয়া, আবার মোবাইল অর্ডার করে সাবান পাওয়া- প্রতারণার এমন উদাহরণ অনেক আছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার অনলাইনে পণ্য অর্ডার করে প্রতারিত হলেন বিটিভির নারী সাংবাদিক তুলনা আফরিন। পণ্য ডেলিভারির আগে অগ্রিম অর্থ নিয়ে তাকে করে দেওয়া হয়েছে ব্লক।

এই ঘটনা নিজের ফেসবুকের পাতায় শেয়ার করেছেন সাংবাদিক তুলনা আফরিন। তুলে দিয়েছেন সেই প্রতারক চক্রের সঙ্গে মেসেঞ্জারে কথোপকথনের তিনটি স্ক্রিন শটও। সেখান থেকে দেখা যায়, ব্লেজার পছন্দ করার পর তা ডেলিভারি দেওয়ার আগে তুলনার কাছে অগ্রিম ১০০ টাকা বিকাশে চাওয়া হয় ‘ডিজিটাল শপ’ নামে ওই ভুয়া পেজটি থেকে।

এর কারণ জানতে চাইলে তুলনাকে জানানো হয়, ‘আমরা গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে পণ্য ডেলিভারি করি। তাই অ্যাডভান্স নিতে হয়। যারা ঢাকা থেকে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করে তারা অ্যাডভান্স নেয় না।’ এ কথায় সন্দেহ জাগায় তুলনা বলেন, ‘কিভাবে বিশ্বাস করব, পরে যদি পণ্য না পাঠান।’ তখন তুলনাকে বলা হয়, ‘আপু বিশ্বাস না করলে আর কিছু করার নেই। তাহলে আমাদের শপে এসে পণ্য নিয়ে যান।’

শপ কোথায় জানতে চাইলে গাজীপুর চৌরাস্তার কথা বলা হয়। কিন্তু যতই ব্লেজার পছন্দ হোক, ঢাকা থেকে অতদূর গিয়ে পণ্য নিয়ে আসা একটু কঠিনই মনে হয় তুলনার কাছে। তাই তিনি সরল বিশ্বাসে বিকাশে ১০০ টাকা পাঠিয়ে দেন ওই প্রতারক চক্রকে। নির্ধারিত সময়ের পরও পণ্য ডেলিভারি না পেয়ে তুলনা ফের নক করেন প্রতারক চক্রের ম্যাসেঞ্জারে। তখনই তাকে ব্লক করে দেওয়া হয়।

 

এই ঘটনা ফেসবুকে জানিয়ে তুলনা বুধবার দুপুরে লিখেছেন, ‘সময়ের অভাবে আমি প্রায় সময়ই অনলাইন থেকে কেনাকাটা করি। কিন্তু কেউ কখনোই অ্যাডভান্স টাকা নেয়নি। আজ এই পেজটাতে কয়েকটা অর্ডার করতে গিয়ে ১০০ টাকা অ্যাডভান্স চাইল। আমি নানান যাচাই-বাছাই শেষে ১০০ টাকা সেন্ড করলাম।’

তুলনা লিখেছেন, ‘টাকা পাওয়ার পর থেকে ব্লক মেরেছে আমাকে।’ এই সাংবাদিকের মতে, ‘টাকা বড় কথা নয়, কিন্তু প্রতিদিন এইভাবে কত মানুষের সাথে প্রতারণা করছে এই চক্র তা আল্লাহ জানেন। প্রতিদিন যদি ২০ জনের কাছ থেকে এমন ১০০ করে নেয় তাহলে মাসে এই পেজের ইনকাম ৬০ হাজার টাকা।’ এটা নিয়ে ভালো ক্রাইম রিপোর্ট করা যায় বলেও উল্লেখ করেছেন তুলনা।

তুলনার এই পোস্ট দেখার পর মন্তব্য বাক্সে অনেকে জানিয়েছেন, তারাও অন্যলাইনে বিভিন্ন সময়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। অনেকে আবার এ ঘটনায় তুলনাকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। অনেকের প্রশ্ন, এই ডিজিটাল প্রতারণার শেষ কোথায়? উত্তর অজানা। কারণ, এর আগে অনেকে প্রতারিত হলেও প্রতারক চক্রকে আইনের আওতায় আনার নজির খুব একটা নেই।

Check Also

কন্যার ছিন্নভিন্ন দেহ কুড়াচ্ছিলেন মা

অনেক সাধনা। দীর্ঘ প্রতীক্ষা। সংসার পাতার আট বছর পর গিয়াস-রাবেয়া দম্পতির ঘরে জ্যোতি ছড়ায় রায়সা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *