ভোলার লালমোহনে পাত্রী দেখতে আসা ছেলে ও তার পরিবারকে আটকে রেখে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা এবং কাজীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আজ রোববার (৩০ অক্টোবর) সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে গত শনিবার (২৯ অকোবর) রাতে উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের উত্তর ফুলবাগিচা গ্রামের ডাক্তার বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় লালমোহন থানায় বাদী হয়ে ভুক্তভোগীর ভাবি মোসা. শাহিনা বেগম মামলা করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন-মেয়ের বাবা রফিকুল ইসলাম ও কাজী মিজানুর রহমান। লালমোহন থানার এসআই শাহজালাল রাঢ়ি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের মেহেরুল্লাহ মুন্সিবাড়ির হাবিব মাস্টারের ছেলে রাসেলের বিয়ের জন্য তার স্বজনরা মেয়ে খুঁজছিলেন। শনিবার বিকেলে রাসেলকে নিয়ে তার স্বজনরা রফিকুল ইসলামের মেয়েকে দেখতে যান। এসময় রাসেলের পরিবার জানতে পারে মেয়িটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক। রাসেল ফিরে আসতে চাইলে মেয়ের বাবা রফিকুল ইসলাম তাদেরকে আটকে রেখে বিয়ের জন্য চাপ দেন। একপর্যায়ে রাসেলকে মারধর করেন করে রফিকুল ইসলাম। পরে ওই ইউনিয়নের কাজী মিজানুর রহমানকে ডেকে নিয়ে রাতেই বিয়ের রেজিষ্ট্রিতে রাসেলের সই নেন রফিকুল ইসলাম।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, রাত ১২টার দিকে রাসেল ও তার পরিবার জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে পুলিশের সহায়তা চায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাসেল ও তার পরিবারকে উদ্ধার করে। এসময় গ্রেপ্তার করা হয় রফিকুল ইসলাম ও কাজী মিজানুর রহমানকে। পরে রাতেই রাসেলের ভাবি শাহিনা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। রোববার সকালে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।