Breaking News

চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা, ছাড়া পেয়ে উল্টো মামলা দিলো চোর

মৎস্যঘের থেকে মাছ চুরির সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে আরবিন্দু বিশ্বাস নামে এক চোর। পরে ছাড়া পেয়ে থানায় গিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের নামে মামলা দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সাতক্ষীরার দেবহাটায় এ ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী স্থানীয় ইউপি সদস্য নূর হোসেন।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে রত্নেশ্বরপুর বিলে একটি মৎস্যঘের পরিচালনা করে আসছেন তিনি। জনপ্রতিনিধি হওয়ায় নিয়মিত মৎস্যঘের দেখাশুনা করতে পারতেন না। সেজন্য প্রায়ই তার মৎস্যঘের থেকে মাছ চুরি হতো। তার ঘেরের পাশেই ছিল অরবিন্দু বিশ্বাসের ঘের। ‍যিনি ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি। মাছ চুরিতে আরবিন্দু জড়িত এমন সন্দেহ হলেও হাতেনাতে ধরতে না পারায় বিচার করা যাচ্ছিল না।

সম্প্রতি নূর হোসেন তার ছেলে সুমন হোসেনকে মৎস্যঘের দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত করেন। এর মধ্যেই গত মঙ্গলবার সুমন আকস্মিক তাদের মৎস্যঘেরে হাজির হন। এ সময় তাদের ঘের থেকে পার্শ্ববর্তী ঘের মালিক অরবিন্দু বিশ্বাসকে জাল ফেলে মাছ ধরতে দেখেন। ওই সময় সুমন হোসেন চোর অরবিন্দুকে আটকে রেখে তার বাবা ইউপি সদস্য নূর হোসেনকে খবর দেন। তাৎক্ষণিক ইউপি সদস্য নূর হোসেন মৎস্যঘেরে পৌঁছে অরবিন্দু চোরকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে ছেড়ে দেন। পাশাপাশি মেম্বার হিসেবে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে জানান।
জানা গেছে, এ বিষয়ে অরবিন্দুকে নিয়ে শালিসে বসারও উদ্যোগ নেন চেয়ারম্যান। কিন্তু চেয়ারম্যানের ডাকে শালিসে উপস্থিত না হয়ে অরবিন্দু অসুস্থতার ভান ধরে দেবহাটার সখিপুর হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে অরবিন্দু উল্টো নূর হোসেন মেম্বার ও তার ছেলে সুমনের বিরুদ্ধে আদালতে মারধরের মামলা করেছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অরবিন্দুর কাছে জানতে চাইলে তিনি মামলার কথা স্বীকার করে ফোন কেটে দেন।দেবহাটা থানার ওসি শেখ ওবায়দুল্লাহ জানান, এমন ঘটনা আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Check Also

কন্যার ছিন্নভিন্ন দেহ কুড়াচ্ছিলেন মা

অনেক সাধনা। দীর্ঘ প্রতীক্ষা। সংসার পাতার আট বছর পর গিয়াস-রাবেয়া দম্পতির ঘরে জ্যোতি ছড়ায় রায়সা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *