Breaking News

‘আমাদের হরতাল শেষ, তাই আবার গাড়ি চালাচ্ছি’

প্রায় ২১ ঘণ্টা পর আজ শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে খুলনার রূপসা নদীতে খেয়া পারাপার শুরু হয়েছে। ৩৬ ঘণ্টা পর শুরু হয়েছে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে সব রুটে বাস চলাচল। রূপসা বাসস্ট্যান্ড থেকেও বাগেরহাটের মোংলাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়েছে যাত্রীবাহী বাস।

যাত্রী দুর্ভোগ ও প্রশাসনের আশ্বাস পাওয়ায় ‘ধর্মঘট’ তুলে নেওয়া ও খেয়া পারাপার শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছেন শ্রমিকনেতারা। তবে রূপসা বাসস্ট্যান্ডের বাসের চালক ও সহকারীরা বলছেন ভিন্ন কথা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁদের কয়েকজন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের “হরতাল” শেষ। নেতারা বলছেন, তাই এখন আমরা আবার গাড়ি চালাচ্ছি।’

বাস, লঞ্চ বন্ধের পর গতকাল রাত থেকে নগরীর অন্যতম প্রবেশদ্বার রূপসা ও জেলখানা খেয়াঘাট বন্ধ থাকায় খানজাহান আলী সেতু হেঁটে পারাপার হচ্ছেন মানুষ
এর আগে গতকাল শুক্রবার ভোরে খুলনা থেকে ১৮টি রুটে ‘বাস ধর্মঘটের’ ডাক দেয় মালিক সমিতি। এরপর গতকাল সন্ধ্যার পর হঠাৎ করেই রূপসায় খেয়া পারাপার বন্ধ করে দেয় মাঝি সংঘ।

এ খেয়াঘাটের পূর্বে রূপসা উপজেলা ও বাগেরহাট আর পশ্চিমে খুলনা শহর। দিনরাত চলে নদী পারাপারের খেয়ানৌকা। তবে হঠাৎ গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে বাঁশ, কাঠ ও বোর্ড দিয়ে আড়াআড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয় ঘাটের প্রবেশপথ। এতে রূপসা ও বাগেরহাটের দিক থেকে কেউই খুলনায় যেতে পারছিলেন না। খেয়াঘাট থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে রূপসা সেতু দিয়েও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সাধারণ মানুষকে পার হতে দিচ্ছিলেন না বলে অনেকে এই প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেছিলেন।

আজ খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় গণসমাবেশ করেছে বিএনপি। এ সমাবেশে দলীয় নেতা-কর্মীদের আসা বাধাগ্রস্ত করতে খুলনা জেলা বাসমালিক সমিতি দুই দিনের (২১ ও ২২ অক্টোবর) ধর্মঘট পালন করে এবং খেয়া পারাপার বন্ধ রাখা হয় বলে অভিযোগ দলটির।

তবে পূর্ব ও পশ্চিম রূপসা ইঞ্জিনচালিত নৌকা মাঝি সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন ব্যাপারী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

খেয়াঘাটে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে লেখা হয়েছে—তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে খেয়া পারাপারে ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে ঘাট বন্ধ
যাত্রীদের দুর্ভোগ কথা বিবেচনা করে আবারও খেয়া পারাপার শুরু করেছেন জানিয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে আমরা যাত্রী পারাপার বন্ধ রেখে ধর্মঘট করছিলাম। যখন তেলের দাম ৫০ টাকা লিটার, তখনো এই ঘাটে আমরা ৩ টাকায় পার করছি। এখন ১১০ টাকা তেলের লিটার, এখনো আমাদের ভাড়া সেই তিন টাকা। এ জন্য আমরা খেয়া পারাপার বন্ধ রেখেছিলাম। প্রশাসনের লোকজন আমাদের ভাড়া বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি, দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন করা হবে।’

একই সুরে কথা বলেন রূপসা আন্তজেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানও। তিনি বলেন, মহাসড়কে নছিমন-করিমনসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে ধর্মঘট ডেকেছিলেন তাঁরা। প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মঘট তুলে নিয়েছেন। দাবি আদায় না হলে প্রয়োজনে আবারও ধর্মঘট দেবেন।

Check Also

কন্যার ছিন্নভিন্ন দেহ কুড়াচ্ছিলেন মা

অনেক সাধনা। দীর্ঘ প্রতীক্ষা। সংসার পাতার আট বছর পর গিয়াস-রাবেয়া দম্পতির ঘরে জ্যোতি ছড়ায় রায়সা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *