Breaking News

সালাম দিতে ভুল, খতিবকে ছাগল-বেয়াদব বলে অফিস থেকে তাড়ালেন ইউএনও!

মো. মতিউর রহমান। কলারোয়া উপজেলা মসজিদের খতিব হিসেবে কর্মরত আছেন। প্রায় তিন বছর যাবৎ এই মসজিদের দায়িত্বে আছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন ইউএনওকে সালাম না দেওয়ায় তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে ওই খতিব।

অভিযোগের বিষয়ে কলারোয়া মজিদের খতিব বলে, “আমি তিন বছর ধরে কলারোয়া উপজেলা পরিষদ মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করছি। গত ১২ রবিউল আওয়াল মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কীভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা যায় সেটি জানার জন্য গত ৮ অক্টোবর ইউএনও স্যারকে ফোন দেই। কিন্তু বেখেয়ালে সালাম দিতে ভুলে যাই। কিছুক্ষণ পর তিনি আমাকে আবার ফোন ব্যাক করে বলেন, ‘আমাকে সালাম করলেন না কেন? আমার স্বাক্ষরে আপনার বেতন হয়’।”

তিনি আরও বলেন, তখন আমি বলেছি, সামনে খেয়াল রাখবো। তখন তিনি (ইউএনও) বলেন, ‘আপনি তো বেয়াদব মানুষের মতো আচরণ করছেন। আপনি নিজে বেয়াদব মানুষকে কী শেখাবেন, বলে বকাবকি করেন।’ তখন আমি আবারও বলি, স্যার সামনে থেকে খেয়াল রাখবো। আমি একটু বেখেয়াল হয়ে গিয়েছিলাম।”

খতিব বলেন, ‘গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ইসলামী ফাউন্ডেশন চিঠি দিয়ে আমাকে মিটিংয়ে আমন্ত্রণ জানালে আমি সেখানে উপস্থিত হই। সেখানে ইউএনও স্যার পূর্বের সালাম না দেওয়ার কথা তোলেন। তখন আমি বলি, স্যার আমি একটু বেখেয়াল হয়ে গিয়েছিলাম। এ ছাড়া আমি সবসময় সালাম দেই।’

ইউএনও বলেন, ‘আমার চেহারা কি এত ভালো যে আমার চেহারা দেখলে আপনি বেখেয়াল হয়ে যান? অন্যরা তো কেউ বেখেয়াল হয় না। আপনি বেখেয়াল হয়ে যান। বেয়াদব কোথাকার। বের হন, বের হয়ে যান এখান থেকে। যান, বের হয়ে যান।’ এর আগে বলেন, ছাগলটা এখনও বের হয়নি! এই বলে সেখান থেকে আমাকে বের করে দেন। এ ঘটনায় আমি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
মো. মতিউর রহমান, কলারোয়া উপজেলা মসজিদের খতিব

অভিযোগ রয়েছে, এর আগে মাস খানেক আগে মসজিদের মোয়াজ্জেম হাফেজ মাসুদুর রহমানকে তিনি বলেছেন, ‘আপনি কি গাঁজা খান?’ তিনি বলেন, ‘সুনামের সঙ্গে আমরা দায়িত্বপালন করছি কিন্তু এর আগে কখনো কোনো ইউএনও এভাবে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেননি।’

মিটিংয়ে উপস্থিত থাকা ইসলামী ফাউন্ডেশনের ফিন্ড সুপার ভাইজার শাহজাহান কবির বলেন, “স্যার না বলায় সম্ভবত ইউএনও স্যার একটু মাইন্ড করেছেন। মূলত সে কারণে আমাদের মিটিংয়ে একটু ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন স্যার। বলছিলেন, ‘আমাকে দেখেই আপনি বেখেয়াল হয়ে যান। অন্য কেউ তো হয় না।’ এরপর তাকে মিটিং থেকে বের করে দেন।”

অভিযোগের বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, ‘আমি উপজেলা মসজিদ কমিটির সভাপতি। বিভিন্ন সময় তাদের সঙ্গে আমার মিটিং হয়। তবে কোনো খারাপ ব্যবহারের ঘটনা ঘটেনি।’

Check Also

কন্যার ছিন্নভিন্ন দেহ কুড়াচ্ছিলেন মা

অনেক সাধনা। দীর্ঘ প্রতীক্ষা। সংসার পাতার আট বছর পর গিয়াস-রাবেয়া দম্পতির ঘরে জ্যোতি ছড়ায় রায়সা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *