মুন্সিগঞ্জ সদরে আবির হোসেন (২২) নামে এক ছাত্রলীগকর্মীকে মারধরের ঘটনায় মিরকাদিম পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিনসহ আট জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে ভুক্তভোগী আবির হোসেনের বাবা নাছির মিয়া বাদী হয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় এই অভিযোগ করেন।অভিযুক্ত বাকিরা হলেন- মিরকাদিম পূর্বপাড়া এলাকার বাবুল আহাম্মেদ (৪২), মাসুদ ফকির খোকন (৬০), টেংগর এলাকার মো. সম্পদ মিয়া (২৫), পূর্বপাড়া এলাকার সাগর (২৬), তিলার্দিচর শরীয়তনগর এলাকার ইমতিয়াজ সানি ও মো. নাজিম এবং নৈদিঘিরপাথর এলাকার খশরু নোমান।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রিকাবিবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন শেষে সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিনের বাড়ির সামনে দিয়ে ফিরছিলেন আবির হোসেন। এসময় পূর্ব শত্রুতার জেরে আবিরের পথরোধ করেন শহিদুল ইসলাম শাহিনসহ এজাহারে উল্লিখিতরা। পরে শাহিন আবিরের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তার পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে অভিযুক্তরা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আবিরের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করেন।
পরে আহত অবস্থায় আবিরকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। সেখানে তার অবস্থা গুরুতর বিবেচনায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেল থেকে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য জাপান-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে এখন তিনি আইসিইউতে আছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহীন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। আমি ১০ বছর মেয়র ছিলাম, কারও সঙ্গে এমন আচরণ করিনি।
তিনি আরও বলেন, যাকে মারধর করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে দুই-তিনদিন আগে থানায় মামলা হয়েছে।এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুজ্জামান বলেন, মারামারির ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।