Breaking News

‘তারা সুন্দরীদের ছবি তোলেন, ব্যবসা করাতে চান’ ইডেন শিক্ষার্থীর বিস্ফোরক মন্তব্য

জান্নাতুল ফেরদৌস নামে ওই নেত্রীকে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগে তামান্না ও রাজিয়াকে বহিষ্কারের দাবিতে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে বিক্ষোভ করেছেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের অন্যপক্ষের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার বৈশাখী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০টার দিকে জান্নাতুল ফেরদৌস আপা ক্যাম্পাসে ঢুকছিলেন। তখন আয়শা সিদ্দিকা হলের সামনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন অনুসারী তার ওপর হামলা চালান। তার সঙ্গে দুইজন জুনিয়র মেয়ে ছিলেন। তাদের সবার ফোন কেড়ে নেয়া হয়। পরে সেগুলো বকুলতলায় বসে থাকা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে জমা দেয়া হয়। পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে থেকে আমি নিজ চোখে এ ঘটনা দেখেছি।’

কলেজটির ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এমন সহিংস আচরণ নতুন নয় জানিয়ে বৈশাখী বলেন, ‘আগেও এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে। আমাদের রুমের মেয়েদেরকে তারা নিয়ে যেতে চেয়েছেন। কিন্তু মেয়েরা তো তাদের কাছে নিরাপদ মনে করেন না। কারণ তারা ওই মেয়েদেরকে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করাতে চান।’

তিনি বলেন, বৈধ রুমের মেয়েরা উপস্থিতি খাতায় স্বাক্ষর করার সময় সভাপতির অনুসারীরা তাদের ছবি তুলে রাখেন। সেখান থেকে কোন মেয়েটা সুন্দর তা নির্বাচন করে রাখা হয়। তারপর সেই মেয়েদেরকে রুমে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়া হয়। খারাপ উদ্দেশ্যে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব দেয়া হয়। কিছুদিন আগে একজন মেয়ে কান্না করতে করতে এ বিষয়ে বিবৃতিও দিয়েছেন।

ছাত্রলীগের এই নেত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রশাসন, শিক্ষক, হল প্রভোস্টসহ সংশ্লিষ্ট সবাই এ ঘটনা সম্পর্কে সব কিছুই জানেন। কিন্তু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে তারা জব্দ। কারণ এর আগে রিভা আপার এ বিষয়ে একটা অডিও ফাঁস হয়েছে। সেখানে আমাদের অধ্যক্ষ ম্যাডামকে নিয়ে তিনি বলেছেন যে, ম্যাডামের নাকি কোনো ক্ষমতা নেই। সব ক্ষমতা নাকি ছাত্রলীগের সভাপতি রিভার কাছে আছে। কিন্তু তখন আমরা এটার কোনো প্রতিবাদ করিনি। কারণ আমরা দল করি। আর দলের সুনাম ক্ষুণ্ণ হোক, সেটা আমরা চাই না।’

বৈশাখী আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দিন দিন এমন বৈরী আচরণ মেনে নেয়া যায় না। দিনের পর দিন এমন ঘটনা ঘটতে থাকলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে আমাদের ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদেরকে ছাত্রলীগের প্রতিনিধি বানানো হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাহায্যের জন্য। সেখানে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাহায্য না করে যদি সিট বাণিজ্য, মেয়ে বাণিজ্যসহ নানা অপকর্ম করি, তবে তো ইডেন কলেজেরও বদনাম হবে। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে নিরপেক্ষভাবে আমি এই বিষয়টা মানতে পারছি না।’

Check Also

কন্যার ছিন্নভিন্ন দেহ কুড়াচ্ছিলেন মা

অনেক সাধনা। দীর্ঘ প্রতীক্ষা। সংসার পাতার আট বছর পর গিয়াস-রাবেয়া দম্পতির ঘরে জ্যোতি ছড়ায় রায়সা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *