Breaking News

লবঙ্গ, জিরা, হলুদ ও দারুচিনি দারুণভাবে করোনা প্রতিরোধ করে

লকডাউন উঠে যাবে হয়তো কয়েকদিন পরই। কেন উঠবে সেটাও পরিষ্কার। হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে মরবে। লকডাউন রাখা হয়েছিল ভাইরাসটা যেন ধীরে ছড়ায়, ততোদিনে যেন ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হয়ে যায়। কিন্তু দুঃখের কথা হলো, পুরো পৃথিবীর ৭০০ কোটির সবার হাতে হাতে এই ভ্যাক্সিন পৌঁছাতে, কম করে হলেও ৩-৪ বছর লাগবে। তাই এমন অনন্তকাল লকডাউন রাখা সম্ভবও নয়, সে যতো উন্নত রাষ্ট্রই হোক না কেন। চীন, ইতালিতেও উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে লকডাউন। তবে আমরা কি এভাবেই মরবো? সহজ ভাষায় বলতে গেলে, হ্যাঁ এবং এটা একদমই প্রাকৃতিক ব্যাপার। প্রতিটা যুগে যুগে এমন Evolution হয়েছে। এক যুগে ‘ডাইনোসর’ ছিল, কিন্তু প্রকৃতিতে টিকে থাকতে পারেনি বলে তারা আজ নেই। অথচ সেই জুরাসিক যুগের ‘তেলাপোকা’ এখনো টিকে আছে। কারণ সে নিজেকে ঊাড়ষাব করে, নিজেকে চেঞ্জ করে প্রকৃতিতে টিকে থাকতে পেরেছে। ম্যামথও ছিল তখন, হয়তো ‘ম্যামথ’ তার রূপ চেঞ্জ করেই বর্তমানের হাতি হয়েছে। এগুলাই Evolution। তো এগুলা বলার মানে কি? এগুলা জেনে কী করবো?

আমাদেরও প্রকৃতির উপাদানের সাথে ঊাড়ষাব হতে হবে। লড়াই করে টিকে থাকতে হবে। আমাদের নিজেদেরও চেঞ্জ হতে হবে। কিছু নিয়ম মেনে চললেই এই টিকে থাকা সম্ভব। [১] অভ্যাস : বাজে অভ্যাসগুলা ত্যাগ করতে হবে। কথায় কথায় মুখে আঙুল দেয়া, কলমের মুখ কামড়ানো, আঙুল জিব্বায় লাগিয়ে কাগজ উল্টানো, সেপ দিয়ে টাকা গোনা ইত্যাদি যুগ যুগ ধরে চলে আসা বাজে অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। সাথে মাস্ক পড়তে হবে এবং সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যেস গড়ে তুলতে হবে। ২০০৩ সালে জাপানে সার্স ভাইরাসের মহামারির পর তাদের মধ্যে এই অভ্যেসগুলা গড়ে উঠেছিল, যা আজ খুব ভালো কাজ করতেসে ইমিউনিটি বৃদ্ধি করতে। ধূমপান যথাসম্ভব পরিহার করা উচিত। [২] এনভায়রনমেন্ট : আমরা খুব ভাগ্যবান যে আমরা এমন পরিবেশে আছি। নয়তো এই ঘনবসতি দেশ কবেই শেষ হয়ে যেতো। আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রা খুব ভালো কাজ করছে। আর্দ্রতা বেশি থাকা মানে বাতাসে ধুলাবালি কম উড়বে। শীতে আর্দ্রতা কম থাকে, চারিদিক শুষ্ক থাকে বলে বেশি ধুলা ওড়ে। এজন্য শীত প্রধান দেশে এই ভাইরাস হানা দিচ্ছে বেশি। তাই ঠান্ডা এসি এভয়েড করতে হবে, এসি রূমের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। [৩] ইমিউনিটি : এটাই মোস্ট ইম্পর্টেন্ট। এই পুরো পোস্ট লেখার পেছনে এই পয়েন্টটাই দায়ী। হার্ড ইমিউনিটির বিকল্প নেই। আমাদের ইমিউনিটি বুস্ট করতেই হবে। সেটা কীভাবে? ফিজিক্যালি অ্যান্ড মেন্টালি।

ফিজিক্যালি : নিয়ম মাফিক ঘুমাতে হবে, রাত জাগা খুব খারাপ শরীর ও ইমিউন সিস্টেমের জন্য। প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে, প্রায় ১৫-৩০ মিনিট। মাসল অ্যাক্টিভিটি বাড়াতে হবে। প্রায়ই রোদে ঘুরতে হবে ছাদে। রোদ দরকার, ভিটামিন ডি লাগবেই। খাবার : ভাতে কোনো ঘোড়ার আন্ডার পুষ্টিও নেই, উল্টা অতিরিক্ত ভাত খেলে আপনি মোটা হবেন। ভাত কম খেয়ে তরকারি এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। প্রচুর পানি খেতে হবে (এটা খুব বাজে অভ্যাস আমরা পানি খেতে চাই না)। এন্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার খেতে হবে। শাক-সবজি খেতে হবে। প্রয়োজনীয় প্রটেকশন নিয়ে বাজারে যান, নয়তো ইমিউনিটির অভাবে এমনিও মরতে হবে। ভিটামিন সি বা টক যুক্ত ফল, কমলা, লেবু খেতে হবে।

এছাড়াও সিজনাল ফল খেতে হবে। প্রতিদিন সকালে লেবু সেদ্ধ গরম পানি খান। ফাস্ট ফুড টোটালি অফ, চিনি কিংবা লবন খাওয়াও কমাতে হবে। আমাদের দেশের মসলাগুলা দারুণ কাজের। লং, লবঙ্গ, জিরা, হলুদ, দারুচিনি এগুলো মারাত্মকভাবে ইমিউনিটি বুস্ট করে। দুধে হলুদ মিশিয়ে খাবেন, হলুদ অনেক কাজের। চায়ে মশলা মিশিয়ে খাবেন। গ্রিন-টি (এন্টিঅক্সিডেন্ট) বেস্ট, গ্রিণ-টি তে এই মসলাগুলো খেলে অনেক ভালো। কালিজিরা কার্যকরি একটা জিনিস। প্রতিদিন সকাল বেলা ওঠে এক চামচ মধুর সাথে কালিজিরা অনেক বেটার একটা কম্বিনেশন। এছাড়া কালিজিরা ভর্তা/ভাজি খাবারে সাথেও খেতে পারেন। মেন্টালি : ইমিউন বুস্টের জন্য সঠিক হরমোনাল ব্যালেন্স ঠিক রাখা খুব জরুরি। তাই মনকে শান্ত রাখতে হবে, হাসি-খুশি থাকতে হবে। ধর্মীয় প্রার্থনায় মন দিন, মন সুন্দর থাকবে। সবাই ভালো থাকুক, সবাই সুস্থ থাকুক। সবাইকে নিয়েই বাঁচতে চাই। বাকিটুকু আল্লাহ ভরসা। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

Check Also

কন্যার ছিন্নভিন্ন দেহ কুড়াচ্ছিলেন মা

অনেক সাধনা। দীর্ঘ প্রতীক্ষা। সংসার পাতার আট বছর পর গিয়াস-রাবেয়া দম্পতির ঘরে জ্যোতি ছড়ায় রায়সা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *