ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের এই ঘোষণায় ফলে হংকংয়ের অধিবাসীকে ব্রিটেনে ১২ মাস ভিসা-ফ্রি সুবিধা নিয়ে যেতে পারবেন। যা তাদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট পাওয়ার সুযোগ করে দেবে। আল জাজিরা
[৩]চীনা সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মনিং পোস্টকে দেয়া এক মন্তব্যে বরিস জনসন আরো বলেন, ‘যদি চীন হংকংয়ের ওপর জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে তবে ব্রিটিশ সরকার নিজেদের অভিবাসন নীতি পরিবর্তন করবে। জনসন লেখেন, হংকংয়ের ৩ লাখ ৫০ হাজার অধিবাসী ব্রিটিশ ন্যাশনাল (ওভারসিস) পাসপোর্ট পাবে, যা তাদের ব্রিটেনে ভিসা-ফ্রি গমন সুবিধ করে দেবে। আরো ২৫ লাখ অধিবাসী পরবর্তী ধাপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ডেইলি মেইল
প্রত্যাপর্ণ করার সময় যৌথ ঘোষণায় ‘এক দেশ, দুই নীতি’ বজায় রাখার কথা ছিলো। হংকংয়ের ওপর নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ব্রিটেনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত যৌথ ঘোষণার পরিপন্থী। [৫]গত মাসে চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস পার্লামেন্টে আইন পাশ করে হংকংয়ের ওপর নিরাপত্তা আইন আরোপের পথ পরিষ্কার করে। এই আইনের ফলে হংকংয়ে রাষ্ট্রদ্রোহ, বিচ্ছিন্নতাবাদ, স’ন্ত্রাসবাদ ও বৈদেশিক হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ করা যাবে। এবং এর ফলে প্রথমবারের মতো চীন হংকংয়ের ভূমিতে নিরাপত্তা এজেন্সির অফিস চালু করতে পারবে। হংকংয়ের অধিবাসী ও গণতন্ত্রপন্থীরা বলছেন, এই আইনের দিয়ে তাদের মতামতকে রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। [৬]মঙ্গলবার ব্রিটেন সতর্ক করে বলেছে, নতুন নিরাপত্তা আইন আরোপ করলে হংকং ব্যবসা, বাণিজ্য ও সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থল হিসেবে বিশ্বের তার বিশেষ মর্যাদা হারাবে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা হংকংয়ের বিশেষ মর্যাদা রদ করতে যাচ্ছে কারণ নতুন নিরাপত্তা আইনের ফলে হংকংয়ের আর স্বায়ত্ত্বশাসন নেই। এএফপি