বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, তারা কোন কিছুই সামাল দিতে পারেনি। প্রতিদিন আক্রান্ত সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার আগাম প্রস্তুতি নিলে এরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
তিনি বলেন, জানুয়ারি মাসে যখন চীনে করোনা মহামারী দেখা দিল তখন বাংলাদেশের যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার ছিল তার সরকার নেয়নি। তারা তাদের একটি অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত ছিল।সরকার যদি লকডাউন করে ব্যবস্থা নিয়ে গরিব মানুষকে সহায়তা দিয়ে ঘরে বন্দি করে রাখতো তাহলে আজকের এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। সরকার করোনা মোকাবেলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
রিজভী বলেন, সরকারি ত্রাণ জনগণ পায় না। আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও দলীয় নেতাকর্মীরা আত্মসাৎ করছে চুরি করছে জনগণের টাকায় কেনা ত্রাণ। জনগণকে বাঁচাতে হলে তাদের নিরাপত্তা দিতে হলে যারা দিন আনে দিন খায় অসহায় গরীব মানুষদের বাড়িতে বাড়িতে ত্রাণ পৌঁছে দিতে হবে। এটা সরকারের দায়িত্ব।
তিনি অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তার, নার্সরা মারা যাচ্ছেন। তাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। তারা বাড়ি ভাড়া পর্যন্ত পাচ্ছেন না। যে বাড়িতে থাকেন তার মালিক তাদের চলে যেতে বলেন। সরকারের উচিত ছিল ডাক্তারদের পাঁচতারকা হোটেলে রেখে কাজ করানো। কিন্তু সরকার সেটা করছে না।
মঙ্গলবার রূপগঞ্জে তারাবো পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব নাসিরুদ্দিনের উদ্যোগে বরপা এলাকায় ত্রাণ বিতরণে তিনি এ কথা বলেন।