সারা দেশে চলছে বিএনপির আন্দোলন এবং বিএনপির নেতারা অনেকেই বলছেন ১০ ডিসেম্বরের কথা যা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে শোনা যাচ্ছে ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি চালিত হবে। এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক সামসুল আলম। নিচে সেটি তুলে ধরা হল –
নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা সুত্র জানিয়েছে, আগামী ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ নিয়ে মারাত্মক টেনশনে আছে পুলিশ। এতদিন ধরে যারা গুম খুন ধরপাকড় বিরোধী দলের ওপর অত্যাচার করেছে, ঐসব পুলিশ অফিসাররা মার্কিন স্যাংশনের আতঙ্কে দিন পার করছে।
১০ ডিসেম্বরের আগেই আরেকটি স্যাংশন আসতে পারে, তা মোটামুটি তারা জানে, এবং অনেকের নাম থাকতে পারে, সেই ধারণায় অনেকেই আগের মত আর বাড়াবাড়ি করতে রাজী নয়! তার উপরে জাপানি রাষ্ট্রদূতের ’১৮ সালের ভোটে পুলিশ কতৃক ‘আগের রাতে ব্যালটবাক্স ভরার অভিযোগ’টি নতুন করে তোলার পরে তারা নিশ্চিত হয়ে গেছে, আরেকটি বিপদ আসতে যাচ্ছে।
বিশেষ করে সিনিয়র অফিসাররা, চাকরির শেষ জীবনে এসে নিষেধাজ্ঞা খেয়ে অবসর জীবনে দৌড়ের ওপর থাকা নিয়ে শঙ্কিত।
এ অবস্থায়, ১০ ডিসেম্বর নিয়ে সরকার আছে মহা দ্বিধা এবং শংকায়, বিশেষ করে ঢাকার বাইরের মহাসমাবেশ গুলিতে বাধার সৃষ্টি করে সুবিধা তো করতেই পারেনি, উল্টো মহাসমাবেশের স্থায়িত্ব এবং কার্যকারিতা জোরদার হয়েছে। তাই রাজধানীর কর্মসূচিতে সরকার দলীয় মাস্তান গুন্ডা দিয়ে বাধা দিলে রাস্তায় লড়াই শুরু হয়ে যেতে পারে। সিসিটিভি, সাংবাদিক, এবং নাগরিকদের মোবাইল ক্যামেরায় পুলিশের বাড়াবাড়ির চিত্র ধারণ হয়ে যেতে পারে। এরপরে নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিবর্ষণ করে দারোগা ফেঁসে যাওয়ার মত এখানেও অনেকেই ব্যক্তিগত ভাবে ফেঁসে যাবে। তাই চাকিরি বাঁচাতে অনেকে ছুটি নিয়ে বা হসপিটালে ভর্তি হয়ে যেতে পারে।
ডিএমপি কমিশনারের সামনে মহাপরীক্ষা- জানুয়ারী মাসে বর্তমান আইজিপির অবসরের পরে ১২ বিসিএস থেকে আইজিপি হওয়ার সিরিয়ালে তিনিও থাকবেন। এ অবস্থায়, ঢাকার মহাসমাবেশে কি ঘটে তার উপরে ভাগ্য নির্ভর করবে