Breaking News

ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে বিবাহিত-মাদক ব্যবসায়ী ও প্রবাসী

ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিবাহিত-মাদক ব্যবসায়ী ও প্রবাসী এবং বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জেলা ছাত্রলীগের একটি অংশ দাবী করেছেন।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে জেলা ছাত্রলীগের অপর একটি অংশ এ দাবী তোলেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের ৮ নং সহ-সভাপতি অমিয় সরকার।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সদ্য গঠিত ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে বিবাহিত, মাদক ব্যবসায়ী, স্কুল ছাত্র ও প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী। এছাড়া বর্তমান সভাপতি তার স্বেচ্ছাচারীতার জন্য এবং ছাত্রলীগ পকেটে রাখার জন্য ১৯ শে নভেম্বর ২০২১ তারিখে গঠিত ২৫ জন ছাত্রলীগের কমিটির দু’জন সহ-সভাপতি, দু’জন সাংগঠনিক সম্পাদককে অবৈধভাবে বাদ দেয়া হয়েছে । যা একেবারেই তিনি পারেন না।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের একটি অংশ দাবী করেন, ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ১৯শে জানুয়ারি ২০২১ গঠিত হয়। আর পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় ৯ নভেম্বর ২০২২। ৯ নভেম্বর তারিখের ওই কমিটিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দেওয়া গত কমিটির থেকে চারজনকে বাদ দেয়া হয়। এরা হচ্ছেন, জেলা ছাত্রলীগের ১ নং সহ-সভাপতি সাদিকুর রহমান, ৮ নং সহ সভাপতি অমিয় সরকার, ২ নং সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব শেখ, ৪ নং সংগঠনিক সম্পাদক আশিকুজ্জামান আশিক।

তারা সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন, এদেরকে বাদ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তারা দেখতে পাচ্ছেন যে, উক্ত চারজনের নাম বাদ দিয়ে যে কমিটি প্রকাশ করেছে তা সম্পূর্ণ সংগঠন বহির্ভূত কাজ। তাছাড়া ওই কমিটিতে রয়েছে বিবাহিত সহ-সভাপতি, মাদক ব্যবসায়ী, সাবেক শহর আওয়ামী লীগের নেতা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী, বিদেশগামী ও স্কুল ছাত্রদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

তারা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির কার্যক্রমের প্রতিবাদ এবং বহিষ্কার দাবি করেন এবং বিতর্কিত কমিটি স্থগিত করার দাবি জানান। পরে ছাত্রলীগের বিতর্কিত ছাত্র নেতাদের কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশিকুর রহমান বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব শেখ, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদিকুর রহমান সবুজ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রবৃত্তি সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাসেল প্রমূখ।

এসকল অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান ও সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহামেদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাদের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

আরো পড়ুন :

Check Also

ক্ষমা চাইলেন ডা. মুরাদ

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাধারণ ক্ষমার আবেদন করেছেন সাবেক তথ্য ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *