সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দু’পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম আজমল হোসেন। তিনি উপজেলার কুলঞ্জ গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে। এ ঘটনার পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া দু’পক্ষই আজমলকে নিজেদের পক্ষের লোক বলে দাবি করে।
দিরাইয়ের সাবেক পৌর মেয়র মোশারফ মিয়া বলেছেন, আজমল তার মিছিলে ছিলেন, বুকের বামপাশে ইট এসে পড়ায় গুরুতর আহত হয় সে। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে সেখানেই মারা যান।
মঞ্চে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. নূরে আলম সিদ্দিকী উজ্জ্বল জানিয়েছেন, দিরাইয়ের নেতারা তাকে জানিয়েছেন, মিছিলে নয়, ছেলেটি আগে থেকেই মঞ্চের পাশে দাঁড়ানো ছিল।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান বক্তব্য দেওয়ার সময় এক কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার কথা উল্লেখ করেন।
দিরাই থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আজমল হোসেন মারা গেছেন। সে আওয়ামী লীগের কর্মী কি না বা সমাবেশে ছিল কি না, আমরা জানি না।
দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ সহকারী মেডিকেল অফিসার বেলায়েত হোসেন বলেন, আজমল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তার শরীরে কোন আঘাত পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকজন তার মরদেহ নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।
এর আগে, সোমবার সকালে উপজেলার বিএডিসি মাঠে আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলন মঞ্চে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন এবং জেলার সভাপতি-সম্পাদকসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন শুরুর কিছুক্ষণ পরই বিতর্কে জড়ান দুই পক্ষের সমর্থকরা। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন তারা। এমনকি মঞ্চে উপস্থিত নেতাদের লক্ষ্য করেও ইটপাটকেল ছুঁড়তে শুরু করেন। এসময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা প্লাস্টিকের চেয়ার মাথায় দিয়ে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেন।