Breaking News

আওয়ামী লীগের বিদায়ের সময় এসেছে : জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ক্ষমতা কারো চিরদিন থাকে না, আপনাদের যাওয়ার পালা এসেছে। বুদ্ধিমানের পরিচয় দিয়ে জাতির কোনো ক্ষতি না করে বিদায় নিন।

শুক্রবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, দেশে এখন দুর্বিসহ অবস্থা বিরাজ করছে। মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বিচারের নামে অবিচার মানুষের ঘাড়ে চাপানো হয়েছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই। মানুষের মান সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার নেই। এক কথায় জাতি এখন সর্বহারা জাতিতে পরিণত হয়েছে।

অচলাবস্থা সৃষ্টি করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে ২৮ অক্টোবরের ঘটনা ঘটানো হয়েছিল বলে দাবি করে তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর কোন অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেনি, তেমনি এখনো কোন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবে না জামায়াত।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের অভ্যুত্থান আমরা দেখেছি, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ আমরা দেখেছি। মানুষের বাঁচার অধিকার, বিচার পাওয়ার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন, তারাই মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। তারা শেষ পেরেকটা মেরেছিলেন বাকশাল গঠনের মধ্য দিয়ে। হিমালয়সম ব্যর্থতা ঢাকতে মানুষের কণ্ঠরোধ করতে তারা দুইটা অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। একটা ছিল রাষ্ট্রীয় জল্লাদ বাহিনী গঠন, যার নাম ছিল রক্ষীবাহিনী। দ্বিতীয় হলো সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা।

জামায়াত আমির বলেন, এ দেশে খুনি কে? ধর্ষক কে? লুণ্ঠনকারী কারা? অর্থ পাচারকারী কারা? আল্লাহ এটা জনগণকে দেখিয়ে দিচ্ছেন। আল্লাহ এভাবেই জালিমদের উপযুক্ত প্রতিদান দিয়ে থাকেন। দুঃশাসন যারা জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে দমিয়ে রাখতে চাচ্ছে, তাদের শক্ত বার্তা দিতে চাই, মেহেরবানি করে নিজেদের হিসাব নিকাশ করে নেন। আপনাদের যাওয়ার পালা এসেছে।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ ও মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।

Check Also

ক্ষমা চাইলেন ডা. মুরাদ

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাধারণ ক্ষমার আবেদন করেছেন সাবেক তথ্য ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *