Breaking News

আ. লীগকে মাতলামি ছেড়ে সভ্য হওয়ার আহ্বান এমপি হারুনের

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোঃ হারুনুর রশীদ এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাতালের মতো কথা বলেন। কথা শুনে মনে হয় তারা নেশাগ্রস্ত। তাই বলি সভ্য হন, মাতলালি ছেড়ে সভ্য আচরণ করুন।

শনিবার (২২ অঅক্টোবর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও বিএনপি আয়োজিত মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভায় তিনি একথা বলেন।

গণসমাবেশ চলাকালে বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
মোঃ হারুনুর রশীদ এমপি বলেন, বিএনপি কোনো ষড়যন্ত্র করে না। ষড়যন্ত্র বাইরে থেকে হয় না। ঘরেই ষড়যন্ত্র হয়। আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্যে প্রকাশ করেছি আজকের এই দুঃসহ সংকটের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই পদত্যাগ করতে হবে। আপনি পদত্যাগ না করলে সংকট সমাধান হবে না। দেশের মানুষ মুক্তি পাবে না।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কথায় কথায় বলেন বিএনপি যদি সমাবেশে ১০ লাখ লোক আনেন আমরা আনবো ২৫ লাখ। বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজ খরচে সমাবেশে আসেন আপনাদের মতো লোক ভাড়া করে বা ৪০০/৫০০ টাকা দিয়ে হাইয়ার করে নিয়ে আসেন। এটাই পার্থক্য আওয়ামী লীগ বিএনপির মধ্যে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আন্তর্জাতিক সেংশন প্রাপ্ত কর্মকর্তা বেনজির আহমেস সাবেক পুলিশের আইজিপি কি তার অহংকার, কি তার দাম্ভিকতা। পুলিশের পোশাক পরে হাতে অস্ত্র নিয়ে যে ভাষায় বেগম খালেদা জিয়াকে আক্রমণ করতেন আজ তার বুক ধুকুমধুকুম করছে। বাংলাদেশ কোন কর্মকর্তা অবসরে যাওয়ার পর নিরাপত্তা নেয়নি কিন্তু বেনজির আহমেদকে নিরাপত্তা নিয়ে থাকতে হয়। গুম, হত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘন করার কারণেই র‍্যাবের উপর সেংশন দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এই সরকার নিঃসন্দেহে একটি মুনাফেক বেঈমান-বিশ্বাসঘাতক সরকার। নির্বাচনের কারচুপি করতে করতে সীমা লঙ্গন করে ফেলেছে। সর্বশেষ গাইবান্ধা উপ-নির্বাচনেই প্রমাণ করে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এই প্রথম ভোট কেন্দ্রগুলোতে সিসিক্যামেরা বসানো হয়েছে। ঢাকা থেকে বসেই সিইসি দেখেন আওয়ামী লীগের ভোট চোর, ডাকাতরা কিভাবে চুরি করছে। তাই তিনি অসহায় হয়ে নির্বাচন বাতিল করেছেন। সিইসি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত কমিটি গঠন করে কি লাভ। সেখানকার দায়িত্বরত ডিসি এসপিকে চাকরীচ্যুত করা দরকার। এই ভোট চুরির সাথে তারাও জড়িত। যেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে সেখানে তদন্ত কমিটির কি দরকার। সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই তো অপরাধীরা ধরা পড়বে।

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল খালেক, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ফোরাতুন নাহার প্যারিস প্রমুখ।

Check Also

ক্ষমা চাইলেন ডা. মুরাদ

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাধারণ ক্ষমার আবেদন করেছেন সাবেক তথ্য ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *