Breaking News

নিবন্ধন না দিলে গণআন্দোলন গড়ে তুলবে এবি পার্টি

সব শর্ত পূরণের পরও দলের নিবন্ধন নিয়ে ষড়যন্ত্র ও টালবাহানা করা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে এবি পার্টি।

শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন হুঁশিয়ারি দেয় দলটি। এ সময় এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন।

২০২০ সালের রাজধানীর বিজয়নগরের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাবেক সচিব এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুজিবুর রহমান মঞ্জুকে সদস্য সচিব করে নতুন দলের ২২২ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। দলের শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সব নেতাই মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র ধরা জামায়াতে ইসলামী থেকে বের হয়ে এসেছেন।

তারা দাবি করছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গ্লানি আর এই প্রজন্মের বহন করার মানে হয় না। তাই সেই দল থেকে বের হয়ে আসা।

পার্টির নিবন্ধন আবেদন দাখিলের কার্যক্রম ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শর্ত জটিলতা নিয়ে লিখিত বক্তব্যে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘দলের নিবন্ধন কার্যক্রম ছিল খুবই কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার অব্যাহত নজরদারি ও একটি বিশেষ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের হিংসাত্মক প্রতিক্রিয়াকে মোকাবিলা করে জেলা ও উপজেলাগুলোতে কমিটি গঠন ও অফিস স্থাপন করতে হয়েছে। একটা ঘরোয়া মিটিং করতে গেলেও পুলিশ অনুমতি নেই বলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে, মিটিংয়ে আসা জনসাধারণের ছবি, ঠিকানা, ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে।’

তিনি বলেন, ‘গোটা বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলই স্বাধীনভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। সেখানে ২৩ জেলায় ও ১০০ উপজেলায় কমিটি গঠন ও দুইশো ভোটার পার্টির সদস্য অর্থাৎ ২০/২২ হাজার মানুষকে পার্টির সদস্য হওয়ার দালিলিক প্রমাণ, কার্যকর অফিস স্থাপন একটি দুরূহ ব্যাপার। পুলিশি হয়রানি, সরকারি দলের হুমকি-ধামকিতে কোনো বাড়ির মালিক রাজনৈতিক দলকে অফিস ভাড়া দিতে আগ্রহী হয় না। এ অবস্থায় আমরা আমাদের জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা পর্যায়ের নেতাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আন্তরিক ভূমিকার মাধ্যমে ইসিতে নিবন্ধনের শর্তগুলো পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি।’

মঞ্জু বলেন, ‘রবিবার আমরা ইসির শর্ত অনুযায়ী এই সব দলিল দস্তাবেজসহ নিবন্ধনের আবেদন ইসিতে জমা দেব। নিবন্ধন না দিলে কিংবা টালবাহানা করা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন-এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনার, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইঁয়া, বিএম নাজমুল হক, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল মামুন রানা, আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবিএম খালিদ হাসান, আমিনুল ইসলাম এফসিএ, আবদুল বাসেত মারজান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমান, কেন্দ্রীয় নেত্রী বেবী পাঠান ও নাসরীন সুলতানা মিলি প্রমুখ।

Check Also

ক্ষমা চাইলেন ডা. মুরাদ

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাধারণ ক্ষমার আবেদন করেছেন সাবেক তথ্য ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *