বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘর-বাড়ি, জায়গা-সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে। দেশের হিন্দুদের ৮০ ভাগ জায়গা- জমি দখল করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।তিনি বলেন, দুর্গাপূজার সময় তারা প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। অথচ বিএনপি সব সময় সব সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে ছিল।
তিনি বলেন, যুগ যুগ ধরে এ দেশের মাটিতে সব সম্প্রদায়ের মানুষ সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের মধ্য দিয়ে বাস করে আসছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে একসঙ্গে আমাদের স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষার জন্য সংগ্রাম করেছি। এ দেশ নির্মাণ করতে চেয়েছি সত্যিকার অর্থে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হিসেবে। কিন্তু বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকারের সময়ে আমরা গণতান্ত্রিক পরিবেশে বেঁচে থাকার অধিকারগুলো সত্যিকার অর্থে ভোগ করতে পারছি না
শুক্রবার দুপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ছাত্র ও যুব ফ্রন্টের উদ্যোগে লাভলেইনের মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন হলে বস্ত্র বিতরণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন আমীর খসরু।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই, আমরা সবাই এক আমরা সবাই বাংলাদেশি। দেশের সংবিধান সবাইকে সমান অধিকার দিয়েছে। বিএনপি সেটাকে ধারণ করে। আমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি না। যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে তারা সেটাকে ধারণ করে না। যে ধারণ করে না তাকে বারবার এটা পালন করার জন্য বলতে হয়। বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে যারা বাস করে তারা সবাই বাংলাদেশি। সুতরাং এখানে হিন্দু না মুসলিম এই পরিচয়ের রাজনীতি নাই।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াই প্রথম পূজামণ্ডপে চাল-ডাল ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিলেন। এখন তো শুনি যুবলীগ-ছাত্রলীগকে পূজামণ্ডপের শান্তি-শৃঙ্খলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাহলে দেশের পুলিশ বাহিনী কোথায় গেল? তার মানে রাষ্ট্রযন্ত্র ও পুলিশ বাহিনীর কোনো দায়িত্ব নেই। যারাই হিন্দুদের প্রতিমা ভাঙে, জায়গা দখল করে তাদেরকে পূজামণ্ডপ পাহারার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার মানে শিয়ালকে মুরগি পাহারা দিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ছাত্র ও যুব ফ্রন্টের সভাপতি প্রকৌশলী সন্জয় চক্রবর্তী মানিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অর্জুন কুমার নাথের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার।
প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ধর্ম সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, সুশীল বড়ুয়া প্রমুখ।