Breaking News

‘দেশবাসীর কাছে কৌতুক অভিনেতায় পরিণত হয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন দেশবাসীর কাছে কৌতুক অভিনেতায় পরিণত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন শুক্রবার বলেছেন সিঙ্গাপুর নয়, শ্রীলঙ্কাও নয় বাংলাদেশের মানুষ বেহেস্তে আছে। শনিবার (১৩ আগস্ট) নয়াপল্টনে আরাফাত রহমান কোকো’র ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে জিয়া মঞ্চ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মোমেনের উদ্দেশ্যে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নয়, সরকারের বশংবদরা বেহেস্তে আছে, আওয়ামী লীগের ওয়ার্ডের নেতারা এখন কোটিপতি। লাখ কোটি টাকা লুটপাট করে যারা বিদেশে টাকা পাচার করেছে, যারা বিদেশে অট্টালিকা তৈরি করেছে সেই টাকা পাচারকারীরা বেহেস্তে আছেন, তবে সে বেহেস্ত সাদ্দাতের বেহেস্ত। অচিরেই সেই বেহেস্ত ভেঙে খান খান হয়ে যাবে। মোমেন সাহেব আপনি তো বাজারে যান না, রিকশাওয়ালার কথা শোনেন না, গরিব মানুষের কথা শোনেন না, একটা ডিমের দাম এখন সাড়ে বারো টাকা, এক হালি ডিমের দাম পঞ্চাশ টাকা, এক কেজি ইলিশ কিনতে দুই হাজার টাকা লাগে। সবজি বাজারে এখন আগুন, মানুষ চাল-ডাল-সবজি কিনতে পারছে না।

তিনি বলেন, অভাবের তাড়নায় মানুষ সন্তান বিক্রি করছে। জনগণ আপনাদের তৈরি করা আগুনে জ্বলে পুড়ে মরছে। মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্তরা এখন হাহাকার করছে, এগুলো গণমাধ্যমে উঠছে, যদিও গণমাধ্যম চাপে আছে। তারপরেও অনেক কিছু গণমাধ্যমে উঠে আসছে। গোটা দেশে এখন দুর্ভিক্ষের ছায়া বিস্তারলাভ করেছে। আপনারা বেহেস্তের কথা বলে অহংকার করেন, জনগণের টাকা হরিলুট করে আপনাদের অনেক টাকা, আপনারা বেহেস্তে থাকতে পারেন, কিন্তু জনগণ আপনাদের দুঃশাসনের নরকে আছে। মোমেন সাহেব আপনার এই বক্তব্য ক্ষুধার্ত জনগণের সঙ্গে চরম রসিকতা।

ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্যে করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আপনারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে রাজপথ দখলের হুমকি দেন, যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না থাকে তাহলে আপনারা রাজপথ থেকে ভীত শৃগালের মতো পালিয়ে যাবেন। বিএনপির নেতা-কর্মীদের গুম করে, খুন করে. বিচারবর্হিভুত হত্যা করে, দেশের সম্পদ হরিলুট করে, চুরি করে আপনারা অহঙ্কার দেখাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া মাঠে নামলে আপনারা তুলার মতো উড়ে যাবেন। আপনাদের দখলে থাকবে রাজপথ আর যারা জনগণের অধিকার নিয়ে কথা বলে তাদের দখলে থাকবে রাজপথ। আপনারাতো জনগণের অধিকার ডাকাতি করেছেন। আপনি এত বড় কথা বলেন, আপনার নেত্রীকে এক এগারোতে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল, কই তখনতো রাজপথে একটি মিছিল করতে পারেননি। ৫শ লোক নিয়ে রাস্তায় নামতে পারেননি। ১৫ আগস্টের ঘটনার সময়তো আপনি ছাত্র নেতা কই তখনতো আপনি রাস্তায় নামেননি। আপনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে গুলি করে রাজপথ দখলে রাখবেন, যেভাবে গুলি করে নুরে আলমকে হত্যা করা হয়েছে, আব্দুর রহিমকে হত্যা করা হয়েছে। গুলি করে, হত্যা করে, নির্যাতন করে আর জনগণকে দমিয়ে রাখা যাবে না। আপনাদের পতন কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না।

আরাফাত রহমান কোকো একজন দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক ও নিরহংকার মানুষ ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন আন্দোলন করছিলেন, তখন শেখ হাসিনা বেগম খালেদা জিয়াকে বালুর ট্রাক দিয়ে বন্দী করে রেখেছিলেন। মায়ের সে দুর্দিন তার ছোট সন্তান মেনে নিতে পারেননি। সেদিন মানসিকভাবে চাপে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছিল। তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যা্ডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, ফয়েজ উল্লাহ ইকবাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Check Also

ক্ষমা চাইলেন ডা. মুরাদ

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাধারণ ক্ষমার আবেদন করেছেন সাবেক তথ্য ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *