আওয়ামী লীগের আসন্ন কাউন্সিলে দলীয় নেতৃত্বে আসছেন তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। এ খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ সোহেল তাজের ভক্তদের মধ্যে চাঙ্গা ভাব দেখা দিয়েছে। তৃণমূল নেতাকর্মীরাও তাকে পদে দেখতে চায়। সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসার খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানানো শুরু করেছেন ভক্তরা।
ইরতিজা চৌধুরী ফেসবুকে লিখেছেন, সোহেল তাজকে আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতিতে দেখতে চাই। তার গ্রহণযোগ্যতা ও সততা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বাবার মতোই সৎ ও সাহসী তিনি। মাদক, ধর্ষণ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে যুদ্ধ শুরু করেছেন এই যুদ্ধে তার সেনাপতি হতে পারেন সোহেল তাজ। দ্রুততম সময়ে দেশ থেকে এসব অপরাধ নির্মূলে সোহেল তাজের বিকল্প নেই।
আসন্ন সম্মেলনে আওয়ামী লীগে বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে পারে বলে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীর মধ্যে আলোচনা রয়েছে। বর্তমানে কার্যনির্বাহী সংসদের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন এমন জায়গা থেকে কেউ কেউ বাদ পড়তে পারেন। আবার দলের তরুণদের মধ্য থেকে নতুন নেতৃত্বও আনা হতে পারে। দলের গঠনতন্ত্রে কিছু সংশোধনী বা সংযোজন আসতে পারে।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একাধিক নেতা বলেছেন, আসন্ন কাউন্সিল অধিবেশনে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের নেতৃত্বে আনা হবে। গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে যারা নিজেকে বিতর্কিত করেছেন, তাদের অনেককে বাদ দেয়া হবে। আবার কাউকে কাউকে কম গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়া হবে।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নেতৃত্ব নির্বাচনের দায়িত্ব কাউন্সিলরদের। যদিও কাউন্সিলররা বরাবরই এ দায়িত্ব তুলে দেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার কাঁধে। তাই সোহেল তাজকে কোন পদে দায়িত্ব দেয়া হবে তা নির্ভর করবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের ওপর।
সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো.আমিনুল ইসলাম চ্যানেল24 অনলাইনকে বলেন, সোহেল তাজের জন্য আওয়ামী লীগের দরজা সব সময় খোলা। আমাদের দলের সভাপতি শেখ হাসিনাও চান সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হোক। জাতীয় চার নেতার সন্তানেরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকুক এটি নেত্রীও চান।
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক তাজউদ্দীন আহমদ ও সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনের একমাত্র ছেলে তানজীম আহমদ সোহেল তাজ। সোহেল তাজ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ২০০৯ সালে পদত্যাগ করেন। ২০১২ সালে সংসদ সদস্য পদও ছাড়েন তিনি।