Breaking News

গাইবান্ধা ভোট বন্ধে সাবেকদের সমর্থন পেল ইসি

গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা – ৫ আসনে সিসি ক্যামেরায় ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়ার পর নির্বাচন কমিশন ভোটের মাঝপথে বন্ধ করে দেয় এ উপ-নির্বাচনটি।এ নির্বাচন বন্ধ সঠিক ও আইন অনুযায়ী সাবেকদের কাছে এমন সমর্থন পেয়েছে নির্বাচন কমিশন।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে সাবেকদের সঙ্গে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সিইসি হাবিবুল আউয়াল এমন তথ্য জানান। তিনি বলেন, গাইবান্ধায় আমরা যে অ্যাকশনটা নিয়েছি- উনারা বলেছেন এটা সঠিক হয়েছে। আইনগতভাবে ও সাংবিধানেকভাবে ঠিক হয়েছে। উনারা আমাদের মুরব্বিজন, গুরুজন হিসেবে পরামর্শ দিয়েছেন-সততার সাথে, সাহসিকতার সাথে আমাদের এগিয়ে যেত।

সিইসি বলেন, আজ আমাদের পক্ষ থেকে আমরা কোনো বক্তব্যই দিই নি; তাদেরকে শুনেছি। সার্বিক বিষয়ে কথা হয়েছে। আমরা তাদের ডেকেছিলাম-এটা সত্য গাইবান্ধাতে যে একটা ঘটনা ঘটে গেল আমাদের প্রয়োজন ছিল আরও এনলাইটেন্ড হওয়া; উনাদের তরফ থেকে কোনো গাইডেন্স আছে কিনা, কিভাবে মূল্যায়ন করেছেন অতটুকু জেনেছি।
তিনি বলেন, এ টা ক্রিটিক্যাল ছিল। প্রথমবারের মতো বড় ধরনের কোনো পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশন নিয়েছে এবং এটা যথেষ্ট সেনসেশন ক্রিয়েট করেছে সর্বমহলে। এটা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য হয়েছে।

ভোট বন্ধ করার পর সাবেকদের কাছ থেকে নতুন করে মূল্যায়ন কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, মূল্যায়নের খুবই প্রয়োজন রয়েছে। যে কোনো বিষয়ে বিচারক হিসেবে আমরা সহকর্মীদের জিজ্ঞেস করি-বিষয়টা ঠিক হয়েছে কিনা। আমরা শুদ্ধ সিদ্ধান্ত নিয়েছি কি নেই নি-আমরা আমাদের অভিমতে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারপরেও এটা সঠিক নাও হতে পারে। কোর্টে গিয়ে কেউ চ্যালেঞ্জ করেন; উনারা যদি বলতেন সঠিক সিদ্ধান্ত নেন নি তখন আমাদের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার প্রয়োজন হতো।

তিনি বলেন, উনারা সকলেই একমত পোষণ করেন, আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক হয়েছে, বলেছেন এগিয়ে যান। আমরা বলতে চাই-আমরা উনাদের কাছে যে গাইডেন্স, পরামর্শ পেয়েছি, বক্তব্য শুনেছি আমাদের এডুকেটেড করেছে, ইন্সপায়ার করেছে। গাইবান্ধায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ইসির উদ্দেশ্য প্রশ্ন বিদ্ধ হবে- সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রি.জে (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের এমন মন্তব্যের বিষয়ে সিইসি বলেন, অপেক্ষা করেন। আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। রিপোর্টটা আসুক। তারপরে আপনারা দেখেন আমরা কোনো পদক্ষেপ নিই কিনা। ওয়েট এ্যান্ড সি। কাজেই একটু অপেক্ষা করতে হবে।

সাবেক এই আইন সচিব আরো বলেন, ইভিএম নিয়েও পক্ষে-বিপক্ষে কথা হয়েছে। অধিকাংশই পক্ষে বলেছেন। এটা নিয়ে জনমনে একটা নেগেটিভ পারসেপশন রয়েছে। এ পারসেপশন টা দুর করতে হবে। বেলা ১১ থেকে তিনঘণ্টা ব্যাপী বৈঠকে সাবেক সিইসি আব্দুর রউফ, কে এম নূরুল হুদা, কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ এবং সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রি.জে (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, মো. শাহনেওয়াজ; সাবেক ইসি সচিব ড. মোহাম্মাদ সাদিক, মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ, সিরাজুল ইসলাম, হেলাল উদ্দীন আহমেদ, এমএম রেজা এবং ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী ও মোখলেছুর রহমান অংশ নেন।

আজ বৈঠকে মোট ২৮ জনকে আমন্ত্রণ জানালেও উপস্থিত হয়েছেন ১৪ জন।এরমধ্যে বিচারপতি আব্দুর রউফ মাগুরা উপ নির্বাচন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন কাজী রকিবের অধীনে ও ৩০ ডিসেম্বরের ভোট করার অভিজ্ঞতা কে এম নূরুল হুদার রয়েছে।

সাবেক সিইসিদের মধ্যে এটিএম শামসুল হুদা ও আবু হেনা যুক্তারাষ্ট্রে আছেন, বিতর্কিত এমএ আজিজ আমন্ত্রণ পাননি।প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, আনিছুর রহমান, মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। অপর নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান সাউথ আফ্রিকা সফরে রয়েছে। গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচন সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করে ব্যাপক অনিয়ম দেখতে পায় নির্বাচন কমিশন।

তারা ৫০টি এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা একটি কেন্দ্র দুপুরের ১২টার দিকেই বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে ভোটের যৌক্তিকতা না থাকায় পুরো নির্বাচনের ভোট বন্ধ করে দেয় ইসি। একই সঙ্গে অনিয়মের কারণ ও জড়িতদের চিহ্নিত করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। কমিটি ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ৬৮৫ জনের শুনানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Check Also

এবার বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল বিমান ও নৌ বাহিনী

এবার বিমান ও নৌ বাহিনীর কর্মকর্তাদেরও আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিল সরকার। সোমবার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *