লন্ডন সফরকালে বিবিসির সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে করা প্রশ্নগুলোকে দেশের জন্য অপমানজনক উল্লেখ করে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, “প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ। দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ সরকার আজ আন্তর্জাতিকভাবে বিতর্কিত। এজন্যই বিবিসির সাক্ষাৎকারে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার এবং গুম-খুন নিয়ে প্রশ্ন করা হয় যা দেশের জন্য অপমানজনক।”
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম এর ২য় যুব সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানীর পল্টন এলাকায় এক শোভাযাত্রা শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক পথসভায় এসব কথা বলেন ববি হাজ্জাজ। আগামী ১ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই যুব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
ববি হাজ্জাজ বলেন, “বিএনপির অনেক নেতাদের সাথে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো গোপন সমঝোতার চেষ্টা করছে। একদিকে দলটির সভা-সমাবেশে পুলিশ নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করছে অন্যদিকে রাতের আঁধারে তাদের নির্বাচনে আনার জন্য লোভনীয় প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও সহিংস রাজনীতি থেকে, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসতে না পারা আমাদের জন্য লজ্জা। গত নির্বাচনে কিছু জাতীয় গাদ্দারদের সাথে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে রাজনৈতিক অপরিপক্কতার পরিচয় দিয়েছিল দলটি।”
পথসভায় ববি হাজ্জাজ আরও বলেন, “দ্বিতীয়বারের মতো এনডিএম যুব সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশব্যাপী আমাদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে এই সম্মেলনের মাধ্যমে তা আরও বেগবান হবে। আমাদের লক্ষ্য নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করা এবং একইসাথে নূন্যতম পরিবেশ সৃষ্টি হলে নির্বাচনের মাঠে থেকে স্বৈরাচারী সরকারের ভোট কারচুপির অপচেষ্টা রুখে দেওয়া।”
সীমান্তে মিয়ানমারের উত্তেজনা সৃষ্টির বিষয়ে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “কূটনৈতিকভাবে আপনারা যদি সমস্যা সমাধান না করতে পারেন তাহলে আন্তর্জাতিকভাবে আপনারা আরেকদফা ব্যর্থ সরকার হিসাবে গণ্য হবেন। আমরা আগেও এই প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে বলেছি এবং এখনো বলছি, শুধু ধৈর্যের পরীক্ষা না দিয়ে সীমান্তে উত্তেজনা নিরসনে শক্ত পদক্ষেপ নিন।”
পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনডিএম এর যুগ্ম মহাসচিব মোমিনুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।