স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের অনুরোধে গত ২১ মার্চ রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন। তবে এতে করে স্বাস্থ্যসেবায় কোনও সমস্যা আছে বলে মনে করেন না তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। কিন্তু তাতে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে না।’মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নিজের দফতরে এক ব্রিফিংয়ে এ একথা বলেন তিনি।
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, ‘জেকেজি এবং রিজেন্ট হাসপাতালকে কিছু কাজের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তারা কিছু স্যাম্পল কালেকশন করবে। আমরা অতোটুকুই জানি এবং করেও আসছিল। তারপরও যদি অন্যা’য় কিছু করে, তাহলে তার জন্য সে এবং তার প্রতিষ্ঠান দায়ী।’তিনি বলেন, ‘রিজেন্ট হাসপাতালকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে কিছু প্রসেস আছে, সেগুলো পালন করে ডিজি অফিস। সেই প্রসেস পালন করে তাদেরকে নিয়োগ দিয়েছে, সই করেছে।
আমরা সেই অনুষ্ঠানে… আমরা ডিজি অফিসে একটি মিটিংয়ে গিয়েছিলাম।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ছিল, যেখানে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সচিবরাও ছিলেন, অন্যরাও ছিলেন। সেদিন (২১ মার্চ) ডিজির অনুরোধে… আপনারা একটু থাকেন, স্বাক্ষর হবে। দুপুরের খাবারের পর। কী স্বাক্ষর হবে, রিজেন্টের সঙ্গে স্বাক্ষর হবে। আমরাও খুশি ছিলাম যে, একটি নতুন হাসপাতাল আসলো করোনা চিকিৎসা দেবে। কারণ, বেসরকারি হাসপাতাল তখনও করোনা চিকিৎসা দিতে দ্বিধা করছিল।’স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘উনারাও আসলেন, তারপর সই-স্বাক্ষর হলো, আমরা খুশি হলাম। সেখান থেকে সরে গেলাম। পরবর্তীকালে যে ঘটনাগুলো, খুবই দুর্ভাগ্যজনক, ন্যাক্কারজনক।
সেখানে টেস্ট করে কিনা তাও আমি জানি না, তবে তারা যে কাজ করেছে, অন্যা’য় করেছে। অন্যা’য় করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী শাস্তি হলে তাদের শাস্তি হবে। এখানে মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিয়েছে কিনা…। মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিলে তো ফাইলেই থাকবে। ব্যাখ্যা (ডিজি) দিলেই পাওয়া যাবে। আমরা ব্যাখ্যার জন্য অপেক্ষা করছি, তারা কী ব্যাখ্যা দেয়। দুই ক্ষেত্রেই আমার ব্যবস্থ্যা নেবো।’আরও পড়ুন:অধিদফতরের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কোনও সমস্যা নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী