ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা মামলার আসামি সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের ছোট ভাই ও তার বাবাকে খুঁজছে পু্লিশ।
এরা হলেন- বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও তার বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া।
তবে মঙ্গলবার মামলার পর থেকে আজ বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ তাদেরকে খুঁজে পায়নি।
এদিকে বিদেশে অবস্থানরত একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সাবেক সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন ও পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ চারজনের বিরুদ্ধে পিবিআই প্রধানের করা মামলার প্রতিবেদন আগামী ৬ নভেম্বর জমা দিতে দিন ঠিক করেছেন আদালত।
বুধবার মামলার এজাহার আদালতে আসার পর ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর ছিদ্দিক এ তারিখ দেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করা হয়।
বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রবিউল ইসলাম।
ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, পিবিআই প্রধানের করা মামলার আসামি ইলিয়াস হোসেন বিদেশে আছেন, আর বাবুল আক্তার কারাগারে আছেন। বাকি দুইজনকে (বাবুলের ভাই ও বাবা) আমরা খুঁজছি। তবে মামলার পর থেকে আজ পর্যন্ত তাদেরকে কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
তাদের দুজনকে আটক বা জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না জানতে চাইলে এই তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাচ্ছে না, তবে আমরা তাদের খুঁজছি।’
আগাম জামিন নিয়েছে কি না জানতে চাইলে রবিউল ইসলাম বলেন, জামিন নেওয়ার অধিকার তাদের আছে। তবে জামিন নিয়েছেন এমন কোনো খবর আমার জানা নেই।
এর আগে রিমান্ডে নির্যাতনের অভিযোগে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছিলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। পরে আদালত সেটি খারিজ করে দেন। ৮ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারের পক্ষে তার আইনজীবী মামলার এ আবেদন করেন। এতে পিবিআই অফিসে ৫৩ ঘণ্টা বাবুলকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়।
২০২১ সালের ১১ মে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। এরপর থেকে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন তিনি। মামলার আর্জিতে বলা হয়েছিল, ২০২১ সালের ১০ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত সময়ে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ও জেলা অফিসে বাবুল আক্তারের ওপর নির্যাতন করা হয়। স্ত্রী হত্যার ঘটনায় মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য বাবুল আক্তারের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়।
এর আগে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে বিদেশে থাকা সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন একটি ভিডিও বানান। সেখানে উল্লেখ করা হয়, বনজ কুমার ইচ্ছাকৃত ভাবে মিতু হত্যায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে ফাঁসিয়েছেন।