Breaking News

দর্জি থেকে যেভাবে ইয়াবার ডিলার হয়ে ওঠেন চট্টগ্রামের আজম উদ্দিন

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শাহ মীরপুরের মৃত সুলতান আহমেদের ছেলে আজম উদ্দিন (২৬)। পেশায় তিনি ছিলেন একজন দর্জি। তবে এই পেশার পাশাপাশি চালাতেন খুচরা ইয়াবা ব্যবসা। এরপর ধীরে ধীরে হয়ে যান এই ভয়ঙ্কর মাদকের ডিলার। নিজের বসতবাড়ির একটি টিনের ঘরের ভেতর গর্ত খুঁড়ে করেন ইয়াবার গোডাউন। মিয়ানমার থেকে টেকনাফ হয়ে ইয়াবা এনে তা এই ঘরের মাটির নিচের গর্তে জমা রাখতেন। সেখান থেকে তা বিক্রি করতেন খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে। শেষ পর্যন্ত এই ইয়াবা ব্যবসায়ী ধরা পড়লেন র‌্যাবের হাতে। গত শনিবার সন্ধ্যায় কর্ণফুলী থানার শাহ মিরপুর বাদামতল এলাকার একটি গুদামঘরের মাটি খুঁড়ে ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্রসহ আজম উদ্দিন ও তার সহযোগী ছৈয়দ নুরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৭ এর একটা টিম। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

মোহাম্মদ ছৈয়দ নুর (৩০) স্থানীয় আব্দুল নুরের পুত্র।জানা যায়, আজম উদ্দিন ৮ বছর আগে দর্জি পেশায় যুক্ত হয়। তবে ৫-৬ বছর আগে থেকে সে এই পেশার পাশাপাশি ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়। প্রাথমিক অবস্থায় ইয়াবার ক্যারিয়ার বা সরবরাহের কাজ করতেন আজম। পরবর্তীতে নিজেই ইয়াবার ডিলারশিপ অর্জন করলে দর্জি পেশা ছেড়ে দিয়ে পুরোদমে ইয়াবা ব্যবসায়ী হয়ে ওঠেন। ইয়াবার পাশাপাশি বাঁশখালীর কথিত অস্ত্র ব্যবসায়ী শহিদ এবং ছৈয়দের নিকট হতে অস্ত্র এনে বিক্রি করতেন আজম। এছাড়া এলাকায় প্রভাব বিস্তার, প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানো এবং মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও বহনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সে এসব অস্ত্র ব্যবহার করতো। জানা যায়, আজম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে সাগর পথে মিয়ানমার হতে সরবরাহকারী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে তার বসতবাড়ির টিনশেড বেষ্টিত একটি ঘরের মধ্যে মাটিতে গর্ত করে বস্তায় মুড়িয়ে রাখতো। পরবর্তীতে তা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট খুচরা ও পাইকারীভাবে বিক্রয় করতেন।

র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমএ ইউসুফ বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা নিশ্চিত ছিলাম টেকনাফ থেকে চট্টগ্রামে ইয়াবার বড় চালান এসেছে। এই চক্র আমাদের দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরাতে সিগারেটের একটি চালান নিয়ে মুভ করে। আমরা সিগারেট জব্দ করলেও তথ্য ছিল ইয়াবার। তবে সিগারেট পেয়ে আমাদের তৎপরতা থামাইনি। আমরা আরও ব্যাপকভাবে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াই। এতে আজমের ইয়াবা আড়ত সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তাকে এক সহযোগীসহ আটক করি। পরে আজমের দেয়া তথ্যমতে মাটির নিচে এই বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

Check Also

জুলুম থেকে বাঁচতে মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তে বলেছেন

মহানবী (সা.) যেকোনো ধরনের জুলুম থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে একটি দোয়া পড়তে বলেছেন। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *