শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পূর্বশত্রুতা ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মামুন খান (৩২) নামের এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বুধবার শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলা পৌরসভায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে নড়িয়া থানার একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহত মামুনের বড় ভাই কুদ্দুস খান। মামলার পর প্রধান আসামি মোকলেছ ব্যাপারীকে নড়িয়া পৌরসভা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত মামুন খান নড়িয়া পৌরসভার ২ নন্বর ওয়ার্ডের বারইপাড়া গ্রামের সালাম খানের ছেলে। তিনি নড়িয়া পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, পূর্বশত্রুতার জেরে নড়িয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক মোখলেছ ব্যাপারী সঙ্গে পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক মামুন খানের দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলে আসছে। মোখলেছ ব্যাপারী ও তার লোকজন মাদক বিক্রি ও সেবন করে এমন অভিযোগ মামুনের পরিবারের। আর মামুন প্রতিনিয়ত মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতো। তাই বুধবার সন্ধ্যায় নড়িয়া পৌরসভা এলাকা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে নড়িয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে একা পেয়ে মোকলেছ ব্যাপারীর নির্দেশে ৮-১০ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ দল মামুনের উপর হামলা চালায়। এ সময় মামুনকে দেশীয় অস্ত্র হাতুড়ি ও রড দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়। তিনি হাতুড়ির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে রাত ৯টার দিকে সদর হাসপাতলের চিকিৎসকরা মামুনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত মামুনের স্ত্রী তানিয়া আক্তার ও মামা আনোয়ার হোসেন মল্লিক বলেন, সন্ত্রাসী মোখলেছ ব্যাপারী ও তার লোকজন মাদক বিক্রি ও সেবন করে। মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মামুনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার বিচার চাই।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) এসএম মিজানুর রহমান বলেন, মামুন খানের হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার সকালে ১৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছে নিহত মামুনের বড় ভাই কুদ্দুস খান। মামলার পর প্রধান আসামি মোকলেছ ব্যাপারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত আছে।