ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে হলে তোলাকে কেন্দ্র করে হল ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে মুহসীন হলের বর্ধিত ভবনে হল ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল হক শিশির ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেনের গ্রুপের মধ্যে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত শতাধিক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারমুখী অবস্থান নিতে দেখা যায়।
জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া এক শিক্ষার্থী হলে উঠতে আসলে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেনের গ্রুপের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রলীগ কর্মীরা তার সাথে কথা বলে রাখলেও সভাপতি শহিদুল হক শিশিরের গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা হলে থাকতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার লোভ দেখিয়ে তাদের গ্রুপে তুলে নেয়।
একপর্যায়ে প্রথম বর্ষের ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে দুই গ্রুপের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে জোরজবরদস্তি ও হাতাহাতি শুরু হয়। এরপর হাতাহাতি সিনিয়রদের মাঝেও ছড়িয়ে যায়। এক পর্যায়ে দু গ্রুপের অন্তত শতাধিক নেতাকর্মী মারমুখী অবস্থান গ্রহণ করে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে হল ছাত্রলীগ সভাপতি শহিদুল হক শিশিরকে একাধিকবার কল ও মেসেজ দেওয়া হলেও তার থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, এমন কিছু তো ঘটেনি। তবুও আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি বিষয়টি।