বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ অ্যাডভোকেট জয়নুল আবদীন ফারুক বলেছেন, ঝড় কখন আসবে তা বলা যায় না। বর্তমান সরকার বিএনপিকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছে। বিএনপি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো ও জ্বালানি তেলের দাম কমানোর প্রতিবাদ করছে। আর সরকারের পেটোয়া পুলিশ বাহিনী ভোলায় দুই নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জে যুবদলের এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, তিনজনকে হত্যা করলেই কি বিএনপি ঘরে ঢুকে যাবে? না। এবার প্রতিরোধ নয়, এখন থেকে প্রতিশোধ হবে। আমরা সবাই প্রস্তুত।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও পুলিশের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে ‘প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি’র আয়োজন করে গণতন্ত্র ফোরাম। কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি খলিলুর রহমান ইব্রাহিমের (ভিপি ইব্রাহিম) সভাপতিত্বে ও মৎস্যজীবী দলের নেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ওলামা দলের শাহ মুহাম্মদ নেছারুল হক, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, মরা গাঙে এমন জোয়ার আসবে সেদিন আপনার পালানোরও সময় থাকবে না। আপনারা তো এক পক্ষের খেলা শুরু করেছেন। আমার তো মনে হয় নারায়ণগঞ্জে শাওনকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। আপনাকে বলছি- খেলা হবে। কিন্তু রেফারি কে হবে তা ঠিক করেন। তারেক রহমানের দলও খেলবে এবং জয়লাভ করবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের লক্ষ্য হটাও মাফিয়া বাঁচাও দেশ, টেকব্যাক বাংলাদেশ। পুলিশ প্রশাসনকে বলবো বিএনপির বিরুদ্ধে আর অ্যাকশনে যাবেন না। সরকারের অনৈতিক নির্দেশ মানবেন না।
তিনি বলেন, শহীদ জিয়া তো উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। তাকে কারা হত্যা করেছে? কার ষড়যন্ত্রে হত্যা করা হয়েছে? ইনশাআল্লাহ বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কমিশন গঠন করে শহীদ জিয়া হত্যার বিচার করা হবে। আজ যারা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথা বলছেন সময় আসছে আর কিছুদিনের মধ্যে তাদের চেহারা উন্মোচিত হবে।
জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, আজকে লোডশেডিংয়ে মানুষ অতিষ্ঠ। আর সরকার নাকি লোডশেডিংকে জাদুঘরে পাঠিয়েছে। আমি বলবো- জনগণের প্রতি আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যদি ন্যুনতম ভালোবাসা থাকে তাহলে দয়া করে পদত্যাগ করুন। এমন একজনের কাছে ক্ষমতা দেন যিনি সাহাবুদ্দিন সাহেব হবেন। আমরা আর বঙ্গভবনে ও গণভবনে বিস্কুট খাবো না। এবার কিন্তু ২০১৪/২০১৮ সালের নির্বাচন হবে না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনাকে দেশে এনে রাজনীতির সুযোগ দিয়েছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আর তার স্ত্রীকে নিয়ে যা বলেন তা বলতে গেলে লজ্জা লাগে। মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। আপনিই তো আবার চায়ের দাওয়াত দেন। সেই আপনার শাসনামলে কিভাবে এসব ঘটছে। আপনার কথা তো বিএনপির বিরুদ্ধে হতে পারে না। আপনার কথা হবে সবার জন্য।
আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের ও জনগণের জোয়ার দেখে সরকারের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। কারণ বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে যাচ্ছে। মানুষের ভোটাধিকার ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছে। আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান ডাক দিয়েছেন রাজপথে থাকার। আসুন আমরা কারো দিকে না তাকিয়ে রাজপথে সর্বশক্তি নিয়োগ করে দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ।