নাটোরের গুরুদাসপুরে আওয়ামী লীগের সমর্থক হওয়ার কারণে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি সমর্থক পিতার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী উপজেলার ঝাউপাড়া গ্রামের আনছার আলীর মেঝ ছেলে মওদুদ আহম্মেদ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মওদুদের বাড়িতে গেলে সমকালকে জানান, মওদুদ তার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী কছেদা বেগমের একমাত্র সন্তান। তার বাবা আনছার আলী প্রথম পক্ষের স্ত্রীর ৪ সন্তানকে গত ৬ জুন স্থাবর-অস্থাবর প্রায় ৮ বিঘা সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে দেন। প্রতিবাদ করলে ৪ ভাই ও তার ছেলে মেয়েরা মওদুদকে মারধর করেন। তিনি (মওদুদ) আওয়ামী লীগের সমর্থক হওয়ার কারণে বিএনপিপন্থী বাবা ও ৪ ভাই ষড়যন্ত্র করে তাকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছেন।
মওদুদের পরিবারকে তার পৈত্রিক ভিটা থেকে উচ্ছেদ করার জন্য চারে সৎভাই ও তাদের সন্তানেরা বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ করেন মওদুদের স্ত্রী নাদিরা বেগম (৩৪)। তিনি বলেন, আমার স্বামী আওয়ামী লীগ করার কারণে তার পাঁচ বোনকেও সম্পত্তির ভাগ দেওয়া হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বরাবর ডাক বিভাগের মাধ্যমে পাঠানো চিঠির কপি।
মওদুদের পিতা আনছার আলী (৮০) অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মওদুদ প্রতারক ও বাউণ্ডুলে ছেলে। সে আমার দেখাশোনা করে না। উল্টো মারপিটের হুমকি দেয়। তার বর্তমান বাড়ির ছয় শতক জায়গা লিখে দিতে চাইলেও নেয় না। মওদুদ আওয়ামী লীগ সমর্থন করার কারণে তাকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগের বিষয়ে আনছার আলী কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে মওদুদ বলেন, ছয় শতক দূরের কথা তিন শতক জমি চেয়েও আমি পাইনি।
স্থানীয় রেজাউল করিম, মো. শরীফসহ স্থানীয়রা বলেন, ছেলে যেমনই হোক তাকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা ঠিক হয়নি। মওদুদ তার পিতার সম্পত্তির ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে চায়।
এ ব্যাপারে এলাকায় মুজিব পাগলখ্যাত মওদুদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বরাবর ডাক বিভাগের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তিনি আর্থিক সহযোগিতা ও পুনর্বাসনের আবেদন জানান। আবেদনপত্রে গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড. আনিছুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মেয়র শাওনেওয়াজ আলীর লিখিত সুপারিশ রয়েছে।