ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের ল্যাবের ফ্রিজে ইলিশ মাছ রাখাসহ বিভিন্ন অসঙ্গগতির জন্য জয়পুরহাটে চিকিৎসা সেবাদানকারী বেসরকারি চার প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। বুধবার (৩০ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের কয়েকটি ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত সিলগালাসহ এ জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক কুমার কুণ্ডু। এ সময় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তুলশী চন্দ্র রায়, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডা. জোবায়ের মো. আল ফয়সাল, সিনিয়র মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট শ্যামল কুমার চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে আনার কলি ল্যাব অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার সিলগালা করাসহ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, পদ্মা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমের অপারেশন রুম সিলগালা ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। অন্য দুই প্রতিষ্ঠান শাদমান ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোম ও গ্রিন জেনারেল হসপিটালকে পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসা সেবাদানকারী বেসরকারি ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর একটির ল্যাবের ফ্রিজে ইলিশ মাছ ছিল। তাছাড়া লাইসেন্স নবায়ন করা ছিল না, ডাক্তার ছিল না, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধও সেখানে পাওয়া যায়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন কাগজপত্রেও গড়মিল ছিল। প্রতিষ্ঠানে অনেক ডাক্তারের নামের তালিকা ছিল, কিন্তু নিয়োগপত্র দেখাতে পারেনি প্রতিষ্ঠানগুলো। এজন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১৯৮২ সালের মেডিক্যাল প্র্যাকটিস ও বেসরকারি ক্লিনিক ল্যাবরেটরি অধ্যাদেশ আইনের ১৩ ধারায় জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক কুমার কুণ্ডু বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানের ল্যাবের ফ্রিজে ইলিশ মাছ পাওয়া যায় এবং প্রতিষ্ঠানটির অনেক অনিয়ম ছিল। ওই প্রতাষ্ঠানকে পুরো সিলগালাসহ জরিমানা করা হয়েছে। অন্য তিনটি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।