Breaking News

স্কুলশিক্ষিকাকে প্রকাশ্যে ‘কান ধরে উঠবস’ করানোর অভিযোগ

রাজশাহীর একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকাকে প্রকাশ্যে কান ধরে উঠবস করানোর অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষিকার ছবি ফেসবুকে দেয়ায় তার সঙ্গে এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে তার ফোনটিও কেড়ে নেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালে ভুক্তভোগী শিক্ষিকা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর আগে, গত বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলার পবা উপজেলার হাড়ুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠ রায়পাড়া এলাকার বাসিন্দা। ২০০৮ সাল থেকে তিনি হাড়ুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। ২০০৬ সাল থেকে শিক্ষকতায় যুক্ত হন তিনি। ঘটনার পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষিকা নাজমা ফেরদৌসি গত বুধবার সকালে তার কার্যালয়ে ওই শিক্ষিকাকে ডেকে পাঠান। এসময় প্রধান শিক্ষিকার স্বামীও উপস্থিত ছিলেন। তিনি একটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক। এছাড়া সেখানে বিদ্যালয়টির জমিদাতা উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষিকা ওই শিক্ষিকাকে কান ধরে উঠবস করানো হয়।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমি সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুনা লায়লাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছি। আগামী রবিবার প্রতিবেদন দাখিল করবেন তিনি।

এ ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ওই শিক্ষিকা অন্য এক নারীর দেহের সঙ্গে আমার মুখমণ্ডল লাগিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করেছেন। ভিডিওতে মেয়েটিকে নাচতে দেখা যাচ্ছে। তার সামনে দাঁড়িয়ে একজন পুরুষ মানুষ কথা বলছেন। ভিডিওটি সহকারী শিক্ষিকা তার নিজের ফেসবুকে দিয়েছেন। এছাড়া তিনি কান ধরে উঠবস করাননি বলে দাবি করেছেন। তার মতে, সহকারী শিক্ষিকা যে অপরাধ করেছেন, তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার আওতায় পড়ে। মামলা থেকে বাঁচার জন্য মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়েছেন বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষিকা আরও জানান, মেয়েটির স্বামী মারা গেছে। তার প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে তিনি মামলা করেননি।

এদিকে, ওই সহকারী শিক্ষিকার দাবি, তিনি প্রধান শিক্ষিকার ছবি জোড়া লাগিয়ে কোনো ভিডিও দেননি। তিনি প্রধান শিক্ষিকার বান্ধবীর সঙ্গে তোলা সুন্দর, ভদ্র একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। তিনি বলেন, সেই সময় প্রধান শিক্ষিকা তিন দিনের ছুটিতে ছিলেন। গত রবিবার তিনি বিদ্যালয়ে এলে একজন শিক্ষিকা ছবি দেয়ার বিষয়টি বলে দেন। সেদিনই প্রধান শিক্ষিকা আমার ফোনটি কেড়ে নেন। আর ছবি দেয়ার অপরাধে আমাকে কান ধরে উঠবস করান। আমাকে অন্যায়ভাবে শাস্তি দেয়া হয়েছে। বাধ্য হয়ে আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

Check Also

জুলুম থেকে বাঁচতে মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তে বলেছেন

মহানবী (সা.) যেকোনো ধরনের জুলুম থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে একটি দোয়া পড়তে বলেছেন। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *