রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ছুরিকাঘাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক হাবু (৩৭) খুন হয়েছেন। তিনি যাত্রাবাড়ী ১১নং ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। এ ঘটনায় রুবেল নামে আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট ) যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কের হাবুর কাঁচামাল দোকানের সামনে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু বক্কর হাবুকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আবু বক্কর হাবু শরীয়তপুর জেলার ডামুড্ডা উপজেলার নান্দা গ্রামের মৃত আলী আহমদ হাওলাদারের ছেলে। তিন ছেলের জনক ছিলেন তিনি।একই ঘটনায় আহত হয়েছেন রুবেল রানা (২৮)। তিনি ১৪ ইউনিট আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক। দুর্বৃত্তরা তাকে লাঠি দ্বারা মাথায় আঘাত করে। রাতেই তাকে চিকিৎসার জন্য ঢামেকের জরুরি বিভাগে আনা হয়।
ফুটপাতে বিদ্যুতের লাইন লাগানোকে কেন্দ্র করে এই প্রাণহানির ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে ইউনিট আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন জানিয়েছেন, ফুটপাতে বৈদুতিক লাইন নিয়ে ওই এলাকার ছেলেপেলেদের সাথে দ্বন্দ্ব হয়। তার ধারণা, তারাই তাকে শহিদ ফারুক সরণি এলাকায় সন্ধ্যার দিকে ৮/১০ জন যুবক তার পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
সংবাদ পেয়ে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে সাড়ে ৮টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা শুনেছি। যে ব্যক্তি মারা গেছেন, তিনি আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন। বিস্তারিত জানার জন্য আমরা কাজ করছি।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।