কর্নেল ফারুক ও রশিদ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনা করছিলেন অনেকদিন থেকেই। কিন্তু সবদিক মিলিয়ে তারা একটি সঠিক ও উপযুক্ত সময় নির্ধারণের চেষ্টা করছিলেন। এপ্রিল মাসেই পরিকল্পনা করা হয় আগষ্টের কোন এক সময় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হবে। তবে তারিখটি নিয়ে বেশ দ্বিধা ছিলো তাদের মাঝে। এই সময় একটি ঘটনা কর্নেল ফারুকের মনের দ্বিধা দুর করতে সাহায্য করে। ফারুক খোঁজ পান চট্টগ্রামের আন্ধা হাফিজ নামক এক পীরের। আন্ধা হাফিজ জন্মলগ্ন থেকেই অন্ধ। তিনি তার অতীন্দ্রিয় সাধনায় সিদ্ধিলাভ করে অতীন্দ্রীয় জ্ঞান ও ভবিষ্যতবাণী করার ক্ষমতা অর্জন করেছিলেন। তার বহু ভবিষ্যতবাণী সত্য হওয়ায় তার ভক্ত অনুসারীর সংখ্য দিন দিন বেড়েই চলেছিলো। কর্নেল ফারুকের শশুর পক্ষও অন্ধ পীরের ভক্ত। ফারুক তার সঙ্গে আলাপ করার সিদ্ধান্ত নিলো।
১৯৭৫ সালের এপ্রিল মাসে বেঙ্গল ল্যান্সারের চট্টগ্রামের হাটহাজারীর অদূরে দুদিনের রেঞ্জ ফায়ারিং এর সিডিউল পড়লো। এই সুযোগেই কর্নেল ফারুক ২ এপ্রিল আন্ধা হাফিজের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পায়। কর্নেল ফারুকের বরাত দিয়ে এন্থনি ম্যাসকার্নহাস তার লিগেসি অব ব্লাড বইয়ে লিখেছেন, ‘ফারুকের হাত নিজের হাতে তুলে নিয়ে অন্ধ পীর অনেক্ষন ধরে কি যেন ভাবলো। ফারুক একটা কাঁপুনী তার হাতে অনুভব করতে পারছিলো। ফারুকের মনের কথা পীরকে বলার আগেই আন্ধা হাফিজ বলে উঠলেন ‘ আমি জানি তুমি ভয়ঙ্কর একটা কিছু করতে যাচ্ছ। তবে মনে রেখো, আমি তোমাকে যে নীতি অনুসরন করতে বলেছি তা যদি তুমি না করো তাহলে ধ্বংস হয়ে যাবে’। তিনি তারপর তিনটি নীতি মেনে চলতে ফারুককে নির্দেশ দেন।
১। আল্লাহ আর ইসলামের লাভ ছাড়া ব্যাক্তিগত লাভের জন্য কিছু করবে না।
২। শক্তি অর্জন কর
৩। সঠিক সময় বেছে নাও।
তিনি মেজরকে তিন মাস অপেক্ষা করার পরামর্শ দিলেন। এই কথা শুনের ফারুক বিস্ময়ে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেল। স্বগীয় ইঙ্গিতের সাথে যেন তার ধারণা অলৌকিকভাবে মিলে গেলো। আন্ধা হাফিজের নির্দেশিত তিনমাস অপেক্ষার পর যে সময় আসছে তা ফারুকের নিজের নির্ধারিত অভ্যুত্থানের উৎকৃষ্ট সময়ের সঙ্গে টায়টায় মিলে গেল। তার মন বলছিলো ঐ সময় কাজ করতে গিয়ে সে ব্যর্থ হতে পারে না।
ওই গ্রন্থের বর্ণনা অনুযায়ী, নারকীয় সেই ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট বিকেলে কর্নেল ফারুকের স্ত্রী ফরিদা তার স্বামীর নির্দেশে চট্টগ্রামের হালিশহরে ‘আন্ধা হাফিজ’-এর কাছে একটা জরুরি খবর পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন।
খবরটি হচ্ছে, ১৫ আগস্টই ফারুকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কাজটি করতে যাচ্ছে। ফরিদা আন্ধা হাফিজকে বার্তাটি পৌঁছে দিয়ে পাল্টা কিছু নির্দেশনামা জানাতে ফারুককে ফোন করতে গিয়ে দেখেন ঢাকার টেলিফোন লাইন অচল। লাইন সচল হলেও ফারুক টেলিফোন ধরেননি। তিনি তখন ঘুমাচ্ছিলেন। পরে শ্বশুরের সহায়তায় তাকে সেই নির্দেশনামা পাঠিয়ে দেন। সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকার্নহাসের ‘বাংলাদেশ: এ লিগ্যাসি অব ব¬াড’বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য সঠিক সময়ের ভবিষ্যতবাণী করেন আন্ধা হাফিজ
সাইফ নাসির : মেজর ফারুক রশিদরা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনা করছিলেন অনেকদিন থেকেই। কিন্তু সবদিক মিলিয়ে তারা একটি সঠিক ও উপযুক্ত সময় নির্ধারনের চেষ্টা করছিলেন। এপ্রিল মাসেই পরিকল্পনা করা হয় আগষ্টের কোন এক সময় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হবে। তবে তারিখটি নিয়ে বেশ দিধা ছিলো তাদের মাঝে। এই সময় একটি ঘটনা মেজর ফারুকের মনের দ্বিধা দুর করতে সাহায্য করে। ফারুক খোঁজ পান চট্টগ্রামের আন্ধা হাফিজ নামক এক পীরের।
আন্ধা হাফিজ জন্মলগ্ন থেকেই অন্ধ তিনি তার অতীন্দ্রিয় সাধনায় সিদ্ধিলাভ কওে অতীন্দ্রীয় জ্ঞান ও ভবিষ্যতদ্বাণী করার ক্ষমতা অর্জন করেছিলেন। তার বহু ভবিষ্যতবাণী সত্য হওয়ায় তার ভক্ত অনুসারীর সংখ্য দিন দিন বেড়েই চলেছিলো। ফারুকের শশুর পক্ষও অন্ধ পীরের ভক্ত। ফারুক তার সঙ্গে আলাপ করার দিদ্ধান্ত নিলো। ঐসময়ে বেঙ্গল ল্যান্সারের চট্টগ্রামের হাটহাজারীর অদূরে দুদিনের রেঞ্জ ফায়ারিং এর সিডিউল পড়লো। ফারুক ২ এপ্রিল আন্ধা হাফিজের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেল।
ফারুকের বরাত দিয়ে এš’নি তার বইয়ে লিখেছেন, ফারুকের হাত নিজের হাতে তুলে নিয়ে অন্ধ পীর অনেক্ষন ধওে কি যেন ভাবলো। ফারুক একটা কাঁপুনী তার হাতে অনুভব করতে পারছিলো। ফারুকের মনের কথা পীরকে বলার আগেই আন্ধা হাফিজ বলে উঠলেন ‘ আমি জানি তুমি ভয়ঙ্কও একটা কিছু করতে যাচ্ছ। তবে মনে রেখো, আমি তোমাকে যে নীতি অনুসরন করতে বলেছি তা যদি তুমি না করো তাহলে ধ্বংস হয়ে যাবে’। তিনি তারপর তিনটি নিিত মেনে চলতে নির্দেশ দিলেন।
১। আল্লাহ আর ইসলামের লাভ ছাড়া ব্যাক্তিগত লাভের জন্য কিছু করবে না।
২। শক্তি অর্জন কর
৩। সঠিক সময় বেছে নাও।
তিনি মেজরকে তিন মাস অপেক্ষা করার পরামর্শ দিলেন। ফারুক বিস্ময়ে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেল। স্বগীয় ইঙ্গিতের সাথে যেন তার ধারণা অলৌকিকভাবে মিলে গেলো। আন্ধা হাফিজের নির্দেশিত তিনমাস অপেক্ষার পর যে সময় আসছে তা ফারুকের নিজের নির্ধারিত অভ্যত্থানের উৎকৃষ্ট সময়ের সঙ্গে টায়টায় মিলে গেল। তার মন বলছিলো ঐ সময় কাজ করতে গিয়ে সে ব্যর্থ হতে পারে না। ওই গ্রন্থের বর্ণনা অনুযায়ী, নারকীয় সেই ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট বিকেলে ফরিদা তার স্বামীর নির্দেশে চট্টগ্রামের হালিশহরে ‘আন্ধা হাফিজ’-এর কাছে একটা জরুরি খবর পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন। খবরটি হচ্ছে, ১৫ আগস্টই ফারুকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কাজটি করতে যাচ্ছে। ফরিদা আন্ধা হাফিজকে বার্তাটি পৌঁছে দিয়ে পাল্টা কিছু নির্দেশনামা জানাতে ফারুককে ফোন করতে গিয়ে দেখেন ঢাকার টেলিফোন লাইন অচল। লাইন সচল হলেও ফারুক টেলিফোন ধরেননি। তিনি তখন ঘুমাচ্ছিলেন। পরে শ্বশুরের সহায়তায় তাকে সেই নির্দেশনামা পাঠিয়ে দেন।
সুত্র : সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকার্নহাসের ‘বাংলাদেশ: এ লিগ্যাসি অব ব্লাড’