বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আলোচিত যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। পাপিয়াকে দেখাতে তার মায়ের মরদেহ কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার হাসনা জাহান বিথী।
তিনি জানান, সোমবার রাত ১০টার দিকে লাশবাহী গাড়িতে করে কারাগারের গেটে পাপিয়ার মায়ের মরদেহ নেওয়া হয়। পরে কারা কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে পাপিয়াকে কারাগারের গেটে নিয়ে তার মায়ের মরদেহ দেখানো হয়। প্রায় ২০ মিনিট সময় মরদেহ কারাগারের গেটে ছিল।
দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার হচ্ছে কানাডায়!
বাংলাদেশ উজাড় করে বিভিন্ন ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে অর্থ পাচার হচ্ছে কানাডায়। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে এভাবে লুটপাটের টাকা এনে কানাডায় গড়ে তুলছে কথিত বেগম পাড়া। নগদ টাকায় মিলিয়ন ডলারের বাড়ি কিনে শুরু করছে ব্যবসা। এমন কি কমিউনিটির মধ্যেও প্রভাব বিস্তার করে হয়ে উঠছে কমিউনিটির পৃষ্ঠপোষক।
উল্লেখ্য, গত কমাস ধরে দুর্নীতির কয়েকটি খবর ঢাকা-কলকাতা-টরন্টোর মূলধারার কাগজে ছাপা হচ্ছে। এরপর ফেইসবুকে তা ভাইরাল হয় এবং দেশে-বিদেশে হৈ চৈ আর তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠে।
সম্প্রতি এ ধরণের খবরগুলোর শিরোনামগুলো হচ্ছে- ‘ব্যাংকের টাকা মেরে কানাডায় বাড়ি’ করেছেন আব্দুল হান্নান রতন, ‘৩৫০০ কোটি টাকা নিয়ে চম্পট’ প্রশান্ত কুমার হালদার, ‘৩০০ কোটি টাকা মেরে কানাডায় ব্যবসায়ী গাজী বেলায়েত হোসেন মিঠু, ‘শত শত কোটি টাকা কানাডা পাচার করেন তাজুল’, ‘কানাডার ব্যবসায়ী রানা-ই কি বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী জয়’!, ‘Could Ajax, Ont. businessman also be a fugitive crime boss Rana?’
যদিও এসব খবরে অনেকে ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকা’র মতো প্রতিবাদ করেছেন। প্রকাশিত খবর ছাড়াও ধরা-ছোঁয়ার বাইরেও অজানা রয়ে গেছে আরও অনেক কাহিনী। তদন্ত করলে যার আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে।
মাত্র দেড় লাখ কানাডীয় ডলার অর্থাৎ এক কোটি ১০ লাখ টাকা জমা দিলেই কানাডা নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। অর্থ পাচারকারীরা এই সুযোগ নিয়েই কানাডায় পাড়ি জমাচ্ছেন। ফলে শান্তিপুর্ণ কানাডা হয়ে উঠছে খুনি, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজদের অভয়ারণ্য।এ ব্যাপারে প্রতিবাদ জানাতে প্রবাসী বাঙালিরা আগামী ২৪ জানুয়ারি বাঙালিপাড়া ড্যানফোর্থস্থ মিজান কমপ্লেক্সে সভার আয়োজন করছে।