সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তলগ্ন অঞ্চলে ভারী অস্ত্র এবং সৈন্য সমাবেশ করে চলেছে।মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এর প্রতিবাদ জানালেও কোন ফলাফল আসেনি।মিয়ানমার আগের চেয়ে বেশি তার আগ্রাসী আচরণ চালিয়ে যাচ্ছে।এর জবাবে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে ভারী অস্ত্র এবং সেনা মোতায়েন করেছে।মীয়ানমারের যেকোন আগ্রাসী আচরণের জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী।অবশ্য বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর তরফ থেকে এই বিষয়ে কিছু বলা হয় নি।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র সাউথ এসিয়া মনিটরকেজানায়, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে সীমান্তে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ডিভিশন ১০-এর আকার বাড়তে দেখা গেছে। তারা ১৫৫ এমএম রকেট লাঞ্চার, কাঁধ থেকে নিক্ষেপযোগ্য বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমানবিধ্বংসী মেশিনগানও মোতায়েন করেছে।
মিয়ানমারের সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন বলেন, দ্বিপক্ষীয় সামরিক সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করা ছাড়াই মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী সীমান্ত নিরাপত্তা বজায় রাখার পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সম্প্রতি সীমান্তে তাদের নিরাপত্তা জোরদার করেছে। তারা এ ব্যাপারে আরাকান আর্মি (এএ) ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) তৎপরতার কথা বলেছে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে সীমান্তে মোতায়েনের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদেও অভিযোগ জানিয়েছে ঢাকা।