বরিশাল নগরীতে ৯৫ বছরের পুরানো একটি পুকুর গভীর রাতে ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে। এতে পানি সংকটে ভোগান্তিতে পড়েছেন মসজিদের মুসল্লি, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষ। এলাকার বাসিন্দারা পুকুর ভরাট বন্ধ করার দাবিতে আন্দোলন করছেন। জেলা প্রশাসক এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।
বরিশাল নগরীর ভাটিখানা প্রধান সড়কের পাশে ৯৫ বছরের পুরানো পুকুর। বছরের পর বছর ধরে ওযু, গোসলসহ নানা কাজে যার পানি ব্যবহার করছেন পুকুর সংলগ্ন মসজিদের মুসুল্লি, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর পুকুরটির মাছ ধরা হয়। পরদিন রাতের আধারে ট্রাকভর্তি বালি ফেলে পুকুরটি ভরাট শুরু করে মালিকপক্ষ। এতে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে মানববন্ধন করেন তারা। ভরাট বন্ধ করে পুনঃখননের দাবি জানিয়েছেন নদী-খাল বাঁচাও আন্দোলনের নেতারাও।
নদী খাল বাঁচাও আন্দোলন বরিশাল সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন শিপলু বলেন, সকল পর্যায়ে এই পুকুর ভরাট বন্ধে আমরা কাজ করবো।
অনুমতি ছাড়া পুকুর ভরাট করতে দেয়া হবে না বলে জানালেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
সিটি কর্পোরেশন বরিশাল ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বাদশা বলেন, জনগণের সাথে আমরা একমত। আমরা সবাই মিলেই এই পুকুর ভরাট বন্ধ করবো।
জেলা প্রশাসক বরিশাল এস.এম অজিয়র রহমান বলেন, পুকুর ভরাট করতে আমরা দেব না। সেজন্য লোক পাঠিয়েছি।
১৯২৫ সালে আখতারুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালে পুকুরটি খনন করা হয়। তবে ক্রয় সুত্রে এর মালিক ছিলেন মরহুম ফয়েজ আহমেদ। তার উত্তরাধিকারিরাই পুকুরটি ভরাট করছেন।