কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলায় মজুরির টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এক কিশোরকে খুঁটির সঙ্গে হাত পা বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাজীবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নবীউল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার শহরের মাছহাটি সংলগ্ন সাঈম হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে রাতেই ওই কিশোর হোটেল শ্রমিককে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
ওসি নবীউল হাসান জানান, খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই কিশোরকে উদ্ধার করে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় হোটেল মালিকের ভাই শফি আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে, তার ভাই হোটেল মালিক সাঈম হোসেন পলাতক আছেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে রাজীবপুর থানায় হোটেল মালিক সাঈম হোসেন ও তার ভাই শফি আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোর বুধবার কাজে আসেনি। কিন্তু, পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে বকেয়া মজুরি চাইতে এলে হোটেল মালিক সাঈম হোসেন তাকে কাজ করতে বলেন। রাত পর্যন্ত কাজ করে বেতনের টাকা চাইলে হোটেল মালিক তাকে গালিগালাজ করেন এবং বুধবার কাজে না আসার কারণ জানতে চান। তখন কিশোরটি তাকে শারীরিক অসুস্থতার কথা বলেন।
এতে হোটেল মালিক ক্ষিপ্ত হয়ে তার মজুরি দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। পরে হোটেল মালিক ও তার ভাই কিশোরটিকে ধরে মারপিট করে হোটেলের পিছনে রান্নাঘরের খুঁটির সঙ্গে হাত ও পা বেঁধে রাখে।
তার চিৎকারে আশেপাশের মানুষ ছুটে এলেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই কিশোরকে উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগী কিশোরের মা জানান, তিনি নিজে অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। ছেলেকে হোটেলে রেখেছেন দৈনিক ১৫০ টাকা মজুরিতে। সাত দিনের মজুরির টাকা বকেয়া আছে। এ টাকা চাইতে গেলে তার ছেলেকে অমানবিক নির্যাতন করেন হোটেলের মালিক সাঈম ও তার ভাই শফি আলম।