তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন সাক্ষাৎ করেছেন। অত্যন্ত উষ্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত ওই সাক্ষাৎ-বৈঠকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বাণিজ্যিক পণ্য আদান প্রদানের বিষয়ে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ, আরো বেশী প্রতিনিধিদল প্রেরণ এবং মেলা ও প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈঠকে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সা’মরিক খাতে চলমান সহযোগিতা শক্তিশালী হবে বলে অভিহিত করেন তারা। আলোচনায় উভয়েই বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আগামী বছরের গোড়ার দিকে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ৮টি মুসলিম দেশের সংগঠন ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান যোগদানের বিষয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি নতুন সদস্যরাষ্ট্র যুক্ত করে ডি-৮ সম্প্রসারণের ব্যাপারে জোর দেন।
দু’দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর গুরত্বারোপ করে এরদোগান সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দেন। যার মধ্যে রয়েছে বিদ্যমান শুল্ক বাধা এড়িয়ে নতুন পণ্য, বস্ত্র, ওষুধ ও অন্যান্য খাতের বিনিয়োগ। এছাড়া উভয় দেশে বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশে তুরস্কের আর্থিক সহযোগিতায় একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দের জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট প্রস্তাব দেন। তিনি নির্যাতিত ও দূর্গত রোহিঙ্গা শরনার্থীদের বংলাদেশে আশ্রয় প্রদানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সকল বিষয়ে তিনি বাংলাদেশের পাশে থাকবেন মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন।
বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে তুরস্ক হতে আরো প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রেরণে আশ্বাস প্রদান করেন। মহামারি কোভিড-১৯ অবসানের পর দ্রুততম সময়ে ঢাকায় নব-নির্মিত তুরস্কের দূতাবাস ভবন উদ্বোধনের প্রাক্কালে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বাংলাদেশে ভ্রমণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দু’দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত বিরতিতে উচ্চতর পর্যায়ে এফওসি অনুষ্ঠিত হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। অদূর ভবিষ্যতে উভয় পক্ষ উচ্চতর পর্যায়ে নিয়মিত আলাপ-আলোচনা চালিয়ে নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ফোরাম গঠনের ব্যাপারে তারা একমত হন।