বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে গত তিনদিনে ১৯৭ দশমিক ৯ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানি হয়েছে ভারতে। প্রথম দিনে দু’টি ট্রাকে গেছে ৪১ দশমিক ৩ মেট্রিক টন, দ্বিতীয় দিন ৬৩ মেট্রিক টন এবং বুধবার রপ্তানি হয়েছে ৯৩ দশমিক ৬ মেট্রিক টন ইলিশ।
এদিন রপ্তানিমূল্য ছিল ৮ লাখ ৭৮ হাজার ৩৫০ ডলার। বুধবার ইলিশের চালানটির রপ্তানিকারক ছিলেন ঢাকার রিপা এন্টারপ্রাইজ ও খুলনার জাহানাবাদ সি ফিশ লিমিটেড।
প্রতিকেজি ইলিশের রপ্তানি দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ মার্কিন ডলার হিসেবে আটশ’ টাকা। এই দরে রপ্তানি করা প্রতিটি ইলিশের সাইজ ছিল এককেজি থেকে ১২শ’ গ্রাম ওজনের।
মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও বেনাপোলের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবার নয়জন রপ্তানিকারককে মোট ১ হাজার ৪৭৫ টন ইলিশ ভারতে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে। প্রতিকেজি ১০ মার্কিন ডলার দরে মোট ১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর ভারতে মোট ১ হাজার ৪৭৫ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা হবে। বেনাপোল কাস্টমস থেকে মাছগুলো ছাড়িয়ে রপ্তানির দায়িত্বে নিযুক্ত হয়েছে সিএন্ডএফ এজেন্ট নিলা এন্টারপ্রাইজ।
আরও পড়ুন- ভারতে গেলো ইলিশ, এলো না পেঁয়াজ
সিএন্ডএফ এজেন্ট মহিতুল হক জানান, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারতের কলকাতায় ইলিশ নিয়ে যাচ্ছেন। পরে সেখানকার বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে। কলকাতা ছাড়াও এই ইলিশ বিক্রি হবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১ আগস্ট বাংলাদেশ ইলিশ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপর গতবছর শারদীয়া দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা হিসেবে ৬ মার্কিন ডলার হিসেবে ৫০৭ টাকা কেজি দরে পাঁচশ’ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার। ওই বছরের ১০ অক্টোবর বাংলাদেশ থেকে ইলিশ মাছের সর্বশেষ চালান ভারতে প্রবেশ করে।