আওয়ামী রাজনীতিতে তার কোন অতীত নেই। কিন্তু এলাকায় দাপটের সাথেই লোকবল নিয়ে সারা দিন চষে বেড়ান নব্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. ফজলুল হক ওরফে ফজলু বিশ্বাস।
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি। নির্ধারিত কোন পেশাও নেই তার, অথচ চালচলন রাজকীয়। হত্যা ও নারী নির্যাতনসহ একাধিক মামলা থাকলেও স্থানীয় থানা-পুলিশের সাথে সখ্যতাই তার দাপটের একমাত্র পুঁজি।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, পদ্মা তীরবর্তী হাবাসপুর ইউনিয়নের চর আফড়া এলাকার বাসিন্দা ফজলুল হক।
বিগত আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে স্থানীয় প্রভাব খাঁটিয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। এরপর পদ বাণিজ্যসহ সবকিছুই চলছে অনেকটা একক নেতৃত্বে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান আ. আলীম বিশ্বাস দায়িত্ব পালন করলেও তিনিও রীতিমতো অসহায় ।নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা অভিযোগ করেন, বিগত ২৭ বছর এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন জিন্নাহ আলী খান। তার মৃত্যুর পর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রদবদল হয়। তখন নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন ছিল। এখন দৃশ্যপট পাল্টে গেছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, গত কাউন্সিলে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। সর্বোচ্চ জনসমর্থন থাকার পরও ফজলুল হককে খুশি করতে না পারায় তিনি কোন পদই পাননি। এমন ঘটনা আরও অনেকের ভাগ্যে ঘটেছে।
শুধু রাজবাড়ীর পাংশা নয়, পাবনা সুজানগর এলাকায় তার অবৈধ নানা কর্মকাণ্ডের বিবরণ রয়েছে পুলিশের নথিপত্রে । পেশি শক্তি কাজে লাগিয়ে এলাকায় সালিস, বিচারসহ নানান কাজে প্রভাব বিস্তারই তার নিত্যদিনের কাজ।
পুলিশের রেকর্ডে ২০১৫ সালে সংগঠিত আবু বক্কার মণ্ডল হত্যা মা’মলার চার্জশিটভুক্ত আসামি এই ফজলুল হক। পাংশা থানায় নারী ও শিশু নির্যাত’ন দমন আইনে (ধারা-৭/৩০) একটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। হত্যা মা’মলায় গ্রে’প্তারি পরোয়ানা থাকলেও প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে এই আওয়ামী লীগ নেতা। এতে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে পাংশা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহাদত হোসেন বলেন, তার বিরুদ্ধে গ্রে’প্তারি পরোয়ানার বিষয়টি জানা নেই। তবে বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।