ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তের ২০৩৯/১২-এস পিলার এলাকার শূন্যরেখার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে গত দুইদিন ধরে অবস্থান করছে শিশুসহ ১২ নারী-পুরুষ। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা করছেন।
তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির বাধায় তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
সোমবার (১৩ জুলাই) ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৬০ বিজিবি (সুলতানপুর) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল এস এম মেহেদী হাসান জানান, ওই নাগরিকরা বাংলাদেশের নয়। যেহেতু ভারতের অংশ থেকে এসেছে, সেহেতু ধরেই নেয়া যায় তারা ভারতের লোক। বিএসএফকে বলা হয়েছে তাদেরকে সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। পাশাপাশি বিজিবিকে সর্তক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে।
সবশেষ খবর অনুযায়ী পুশইনের চেষ্টারত ওই নাগরিকদের ভারত সীমান্তের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে এখনো অবস্থান করছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা সদরের হাকর সীমান্তের ২০৩৯/১২-এস পিলার এলাকা দিয়ে ১২ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা করে বিএসএফ। এ সময় বিজিবির টহল দলের সদস্যরা শিশুসহ ওই ১২ নারী-পুরুষকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে বাধা দেন।
এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতেৃত্ব দেন বিজিবির কসবার কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার করিম উদ্দিন প্রধান এবং ভারতের বিএসএফের পক্ষ নেতৃত্ব দেন কমলাসাগর বিএসএফ ক্যাম্পের পরিদর্শক প্রবেশ কুমার।
বিএসএফ সদস্যরা ওই ১২ জনকে বাংলাদেশি নাগরিক বলে দাবি করেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিএসএফের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলা হয়, যেহেতু তারা ভারতে অবস্থান করছে তারা ভারতীয় নাগরিক। তাদের যেন কোনোভাবেই পুশইনের চেষ্টা না করেন। এ ব্যাপারে বিএসএফকে বলা হয়েছে।